তেরখাদা থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার আড়কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু তানিশা আক্তার (৫) ওই গ্রামের খাজা শেখের মেয়ে। খাজা পেশায় একজন পুলিশ কনেস্টবল।
ওসি বলেন, “খাজা সাড়ে সাত বছর আগে মোল্লাহাট উপজেলার আক্কাস শেখের মেয়ে তাসলিমা বেগমকে বিয়ে করেন। একমাস আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে একমাত্র সন্তান ছিল তানিশা আক্তার। মা-বাবার বিচ্ছেদের পর তানিশা মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে থাকত।
“খাজা কিছুদিন আগে তিথি আক্তার মুক্তাকে (২২) বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে মুক্তা তার তানিশা মেনে নিতে পারছিলেন না। তানিশা বাবার কাছে গেলে মুক্তা বিভিন্ন সময়ে তাকে নির্যাতন করতেন।“
তিনি বলেন, “কয়েকদিন আগে তানিশা বাবার কাছে বেড়াতে যায়।সোমবার রাতে তানিশা তার দাদির কাছে ঘুমিয়ে ছিল। সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যান মুক্তা। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন।
“এ সময় সময় তানিশার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তানিশাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
এ ঘটনায় শিশুটির দাদা আবুল বাশার শেখ বাদী হয়ে মুক্তাকে আসামি করে মামলা করেছেন।মুক্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান গোলাম মোস্তফা।