মঙ্গলবার চট্টগ্রামের
একটি গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে গ্যারেজ মালিকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানায়
পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি
হলেন- মো. জসীম (৩৮) ও গ্যারেজ মালিক জয়নাল আবেদীন পারভেজ (৪০)।
ডবলমুরিং থানার ওসি
মোহাম্মদ মহসিন জানান, গ্রেপ্তার জসীম গত রোববার দুপুরে পতেঙ্গা এলাকা থেকে একটি হাইয়েস
মাইক্রোবাস ভাড়া করে পাঠানটুলি গায়েবী মসজিদের পেছনের এলাকায় আসেন।
“জসীম গাড়ি চালক নূর
নবীকে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার কথা বলে গাড়িটি আলী মোটর্স নামে একটি গ্যারেজের
সামনে রাখতে বলেন। চা খাওয়া শেষে ভাড়ার টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার সময় চালক ইঞ্জিনের শব্দ
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শুনতে পান।
“পরে গাড়িটির পরীক্ষা
করে চালক নূর নবী শনাক্ত করেন মাইক্রোবাসের সাইলেন্সার পাইপের ভেতরের সেন্সরটি না থাকায়
বেশি শব্দ হচ্ছে।”
ওসি মহসিন জানান, মঙ্গলবার
সকালে নূর নবী বিষয়টি গাড়ির মালিক নূর উদ্দিনকে জানালে আরও কয়েকজন গাড়ির মালিককে সঙ্গে
নিয়ে তারা সকালে আলী মোটর্সে আসেন। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে গ্যারেজ মালিক
পারভেজ ও জসীমকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা
সেন্সর চুরির কথা স্বীকার করে বলে জানান ওসি।

পারভেজ ও জসীমকে জিজ্ঞাসাবাদের
বরাত দিয়ে ওসি বলেন, গ্রেপ্তার দুই জনসহ আরও কয়েকজন মিলে গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির একটি
চক্র তৈরি করেছে। বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে তারা যাত্রী বেশে কিংবা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের
কর্মীদের ব্যবহারের কথা বলে গাড়ি ভাড়া করে।
“কৌশলে সেটি আলী মোটর্স
গ্যারেজের সামনে নিয়ে সেন্সর খুলে ফেলে। এভাবে তারা গত কয়েক মাসে অন্তত ৭০টি গাড়ির
সেন্সর চুরি করেছে।”
প্রকারভেদে সেন্সরের
দাম ৬০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত হয়।
এদিকে জসীম ও পারভেজকে
গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে আরও ১০ জন চালক থানায় এসে এ ধরনের চুরির অভিযোগ দিয়েছে।
পুলিশ গ্যারেজ থেকে
চারটি সেন্সর উদ্ধার করেছে বলে জানান ওসি মহসিন।
এ চক্রে গ্যারেজ মালিক
পারভেজের ছোট ভাই সাহাব উদ্দিন এবং জহির ও প্রসাদ নামের দুই কর্মচারীও জড়িত, যারা পালিয়ে
গেছে বলে জানান তিনি।