ক্যাটাগরি

ধর্ষণ ও ভিডিওধারণ: রাবি ছাত্র মাহফুজুরের জামিন স্থগিত

উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিন স্থগিত
চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর ভার্চুয়াল চেম্বার
আদালত মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।     

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত
অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মাদ মোরশেদ। আর আসামি মাহফুজুর রহমান সারুদের পক্ষে শুনানি
করেন আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন।

মোরশেদ পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “মামলায় মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ভিডিওধারণের অভিযোগ করা হয়েছে।
পরিকল্পিতভাবে সে এই অপরাধ করেছে। আদালত এই বক্তব্য শুনে হাই কোর্টের দেওয়া তার জামিন
৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে।”

২৫ মার্চ মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি
মো. আতোয়ার রহমানের অবকাশকালীন ভার্চুয়াল বেঞ্চ হাই কোর্ট তাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছিল।

আসামির আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন
জানান, মামলাটিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এখনও অভিযোগ গঠন করা হয়নি।

মাহফুজুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গত বছর ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাজলা
সাঁকপাড়ায় এক ভাড়া বাসায় (মেস) তিনি বান্ধবী ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন বলে মামলায় অভিযোগ
করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, গল্প করার কথা বলে
ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। মাহফুজুরের বন্ধু বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যায়ের আইনের
ছাত্র প্লাবন সরকার, রাফসান এবং কাজলার স্থানীয় যুবক জয়, জীবন ও বিশাল মোবাইলে ওই ধর্ষণের
ভিডিওধারণ করেন।

এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রীর কাছে
৫০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন
তারা।

পরে ২৭ জানুয়ারি দুপুরে ওই ছাত্রী
তার মা-বাবাসহ মতিহার থানায় গিয়ে ওই ছয়জনকে আসামি করে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা
করেন।

ওই রাতেই আসামি বিশাল বাদে বাকি পাঁচজনকে
গ্রেপ্তার করে মতিহার থানার পুলিশ। পরে রাজশাহী মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায়
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

তখন আদালত পুলিশের আবেদনে মূল আসামি
মাহফুজুর রহমানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মতিহার
থানার এসআই আব্দুর রহমান (এখন ডিবিতে আছেন) বলেছিলেন, “দুজন  আসামি  আদালতে  স্বীকারোক্তিমূলক  জবানবন্দি 
দিয়ে বলেছে, তারা  ঘটনার আগের দিন একটি
চায়ের দোকানে বসে পরিকল্পনা করেছিলেন।

“দুই দিনের রিমান্ডে মূল আসামি মাহফুজুর
রহমানের দাবি, ‘তাকে ফাঁসানো হয়েছে।”

বিশাল নামের এ মামলার অপর আসামি পালাতক
রয়েছেন বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়।