বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা বিস্ফোরক ব্যবহার করে দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় ওভেরি শহরের কারাগারটির প্রশাসনিক ব্লক উড়িয়ে দেওয়ার পর এর প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে বলে জানা গেছে।
৩৫ জন বন্দি পালাতে রাজি হননি, পালিয়ে যাওয়ার পর ছয় বন্দি ফিরে আসেন।
এ হামলার ঘটনার জন্য বিয়াফ্রা নৃগোষ্ঠীর নিষিদ্ধ ঘোষিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে দায় দিয়েছে পুলিশ। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা গোষ্ঠীটি অস্বীকার করেছে বলে জানা গেছে।
ইমো রাজ্যের ওই কারাগার থেকে এক হাজার ৮৪৪ জন বন্দি পালিয়ে গেছে বলে নাইজেরিয়ার কারা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
তারা জানায়, সোমবার ভোররাতে কয়েকটি পিকআপ ট্রাক ও বাসে করে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত সশস্ত্র লোকজন ওভেরি কারাগারে হামলা চালায়।
হামলাকারীদের কাছে রকেটচালিত গ্রেনেড, মেশিন গান, রাইফেল ও বিস্ফোরক ছিল বলে পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি হামলাটিকে ‘সন্ত্রাসবাদী কাজ’ অভিহিত করে এর জন্য ‘নৈরাজ্যবাদীদের’ দায়ী করেছেন। হামলাকারীদের ও পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের ধরার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিয়াফ্রা বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র আন্তর্জাতিক এক বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, সোমবারের ওই হামলা তারা চালিয়েছে এই অভিযোগ ‘মিথ্যা’।
নাইজেরিয়ার ইমো রাজ্য অনেক দিন ধরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী সমস্যায় আক্রান্ত। কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় ইগবো নৃগোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্যমান নাজুক সম্পর্ক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
জানুয়ারি থেকে নাইজেরিয়ার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি থানায় ও গাড়িতে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা থানা লুট করে বহু অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গেছে। কোনো গোষ্ঠী এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি।