ক্যাটাগরি

ফের আইসোলেশন সেন্টার চালু করল সিসিসি

মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর লালদীঘির পাড়ে সিসিসি লাইব্রেরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
ভবনে এই আইসোলেশন সেন্টারের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

এ মেয়র বলেন, “কোভিড-১৯ সংক্রমণ অতিদ্রুত হারে বৃদ্ধির ফলে সরকারি ও বেসরকারি
পর্যায়ের চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রগুলোতে ঠাঁই নেই অবস্থা। এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ও অস্বস্তিকর।

“উদ্ভুত এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আইসোলেশন সেন্টারের যাত্রা শুরু হল জীবন
ছন্দে ফেরানোর প্রত্যাশা ও অঙ্গীকার পূরণের স্বপ্ন নিয়ে। সংক্রমণের দ্রুত বিস্তার সত্ত্বেও
দিশেহারা হওয়া বা মনোবল হারানোর অবকাশ নেই।”

মেয়র রেজাউল জানান, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে আপাতত ৫০ শয্যা নিয়ে আইসোলেশন
সেন্টারটি চালু হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় তা সম্প্রসারণ এবং চিকিৎসকসহ জনবল বাড়ানো হবে।

সিসিসির এই আইসোলেশন সেন্টারটিতে আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা
দেওয়া হবে।

এখানে নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে সামাজিক ও মানবিক
দায়িত্ববোধ থেকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদানের আহ্বান জানিয়ে মেয়র
বলেন, যারা সেবাদানে নিয়োজিত তাঁদের অবশ্যই মূল্যায়ন করা হবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ
মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন
ও আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, সিসিসির
প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেলিম আকতার চৌধুরী এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম
ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোক্তা বিদ্যুৎ বড়ুয়া।

গত বছর করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের একটি কমিউনিটি
সেন্টারে আইসোলেশন সেন্টার চালুর উদ্যোগ নেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

২০২০ সালের ১৩ জুন ২৫০ শয্যার এই সেন্টারটি চালু করা হয়। ১৪ অগাস্ট বন্ধ
হওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানে সেবা নেন মোট ১২৯ জন। বহির্বিভাগে সেবা নেন ৩০ জন।

তখন ওই আইসোলেশন সেন্টারে ১৬ চিকিৎসকসহ ৯৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করেছেন।