মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত ডিসি (সার্বিক) দীপক কুমার রায় জানান, তাদের হিসাবমতে উদ্ধার হওয়া ২৯ মরদেহের মধ্যে ১৯ জনের বাড়িই মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায়। আর নিখোঁজ সাতজনের মধ্যেও ছয়জনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে।
মুন্সীগঞ্জে স্বজনদের বাড়িতে মাতম
রোববার সন্ধ্যার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমএল সাবিত আল হাসান’ কয়লাঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। লঞ্চের অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন বেশির ভাগ যাত্রী।
সোমবার বিকালে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা পর্যন্ত ২৯ জনের লাশ উদ্ধার এবং লঞ্চটি টেনে তোলা হয়।
মুন্সীগঞ্জে স্বজনদের বাড়িতে মাতম
নারায়ণগঞ্জের ডিসি মোস্তাইন বিল্লাহর দেওয়া তথ্যমতে, এখনও মোট সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন। তবে নাম জানা যায়নি এমন কেউও নিখোঁজ থাকতে পারে।
তাদের সন্ধানে নদীতে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে নৌ-পুলিশকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী লাইটার জাহাজাটি খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ ডুবি: নিহতের সংখ্য বেড়ে ২৯, নিখোঁজ ৭
লঞ্চ ডুবির এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরী ববিকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জে স্বজনদের বাড়িতে মাতম
তাছাড়া বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ঢাকা) রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।