মঙ্গলবার পশ্চিম দারফুর রাজ্য চিকিৎসক কমিটি এ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তিন দিনের সংঘর্ষের পর সুদান সরকার সোমবার রাজ্যটির রাজধানী এল জেনিইনাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। একইদিন জাতিসংঘ পশ্চিম দারফুরে সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন নিহত ও ৫৮ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছিল।
গত বছর শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার পর দারফুর অঞ্চলে সহিংসতার যে পুনরুত্থান দেখা যাচ্ছে পশ্চিম দারফুরে গত কয়েকদিনের রক্তক্ষয় তার মধ্যে সাম্প্রতিকতম।
এবারের সংঘাতে ভারী অস্ত্র ও রকেট চালিত গ্রেনেড ব্যবহৃত হয়েছে বলে এলাকাটির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পাশাপাশি রয়টার্সের দেখা জাতিসংঘের এক অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বুলেটিনেও এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
বাসিন্দাদের তোলা ছবি ও ভিডিওতে এল জেনিইনার বিভিন্ন এলাকার উপরে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পশ্চিম দারফুরের এ রাজধানীতে মাসালিত ও আরব গোত্রগুলোর মধ্যে একই ধরনের সংঘর্ষে অন্তত ১২৯ জন নিহত ও এক লাখ আট হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।
২০০৩ সালে সুদানের ওমর আল-বশিরের সরকার বিদ্রোহ দমনে সশস্ত্র মিলিশিয়াদের সহায়তা করার পর থেকেই দারফুর তুমুল সংঘর্ষ ও ব্যাপক প্রাণহানি দেখে আসছে।
২০১৯ সালের এপ্রিলে বশির ক্ষমতাচ্যুত হলেও কর্তৃপক্ষ দারফুরসহ সুদানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি স্থাপনে হিমশিম খাচ্ছে।