প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার
এক ভিডিও বার্তায় ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন বলে বিকাশের এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের
মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে পর্যাপ্ত নীতি সহায়তা দেওয়ার উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
ইউএস চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে গঠিত এই নতুন বাণিজ্য সংস্থা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ
(এফডিআই) আকর্ষণ করার জন্য একটি বড় প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া
বিষয়ক সাবেক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের
প্রেসিডেন্ট নিশা বিসওয়ালের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল এই আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল
ইসলাম, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ও উবার এর সিইও দারা খোসরোশাহি সংযুক্ত ছিলেন।
কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান শেভরন, ওয়ালমার্ট, জেনারেল ইলেকট্রিক, মেটলাইফ, ফেসবুক, বিকাশ
এবং শপআপ-এর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশের
অর্থনীতির ভবিষ্যৎ: পরবর্তী ৫০ বছরের প্রবৃদ্ধি পরিকল্পনা’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায়
যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট এনার্জি ও মেটলাইফের নির্বাহীদের সঙ্গে
প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল
কাদীর।
বিকাশের বিশ্ব স্বীকৃতি
প্রসঙ্গে কামাল কাদীর বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেগুলেটেরি
নির্দেশনা, বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ এবং মোবাইল নেটওয়ার্কের শক্তিশালী অবকাঠামো
দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে অবদান রাখতে বিকাশকে সহায়তা করেছে।
ভবিষ্যতে আরও বিদেশী
বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আছে সঠিক নীতিমালা, ডিজিটাল
অবকাঠামো, কার্যকর পেমেন্ট সিস্টেম এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, যা অনুমেয় সফলতা নিয়ে
আসবে।