ক্যাটাগরি

খুলনায় চিকিৎসককে লাঞ্ছনার অভিযোগে তিনজন কারাগারে

বুধবার
তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর
আগে ভোরে বাগেরহাট জেলা থেকে প্রয়াত রোগী রফিকুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫) এবং শ্যালক বশির উদ্দিনকে
(৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া আগে থেকেই গ্রেপ্তার ছিলেন সাইফুলের মেয়ের জামাই বদিউজ্জামান।

সোনাডাঙ্গা
মডেল থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, চিকিৎসক ডা. সুমিত পালের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে
বুধবার ভোরে পৃথক অভিযান চালিয়ে সাইফুল ইসলাম (২৫) এবং বশির উদ্দিনকে (৩৮) বাগেরহাট থেকে
গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেয়ের জামাই বদিউজ্জামানকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

“বাকি
আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

গত
৩ এপ্রিল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রফিকুল ইসলাম
মারা যান।


মৃত্যুর পর তার স্বজনরা চিকিৎসক সুমিত পালকে লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। আহত
ডা. সুমিত পাল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

লাঞ্ছনার
অভিযোগ এনে সুমিত পাল এবং হাসপাতালের পরিচালক এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে পাঁচজনকে
আসামি করে দুটি মামলা করেন।

এদিকে,
আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন
(বিএমএ) খুলনা শাখা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল।

তবে
মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজন গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে বিকেলে বিএমএ খুলনার সভাপতি শেখ
বাহারুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘কর্মবিরতি কর্মসূচি আর থাকছে না।’

শেখ
বাহারুল আরও বলেন, ১০০ শয্যার একটি কোভিড ওয়ার্ড চালাতে গেলে যে পরিমাণ জনবলের প্রয়োজন,
যে পরিমাণ যন্ত্রপাতি, ওয়ার্ডবয়-আয়া প্রয়োজন, তা পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে
রোগীর স্বজনেরা মনে করছেন, চিকিৎসকেরা এর জন্য দায়ী।