গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তা দুই বছর পিছিয়ে যায়। স্থগিত হয়ে যাওয়া আসরটি ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ায়। আগের সূচি মতো এই বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করার কথা ভারতের।
আসরটি বসার কথা আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ভারতের পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। বুধবার দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। এক দিনে ভারতে যা সর্বোচ্চ।
এমন পরিস্থিতিতে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে জেগেছে শঙ্কা। বুধবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় আইসিসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস জানালেন তাদের ভাবনা।
“হ্যাঁ, আমাদের বিকল্প পরিকল্পনা আছে। তবে এই মুহূর্তে আমরা সেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করিনি। কারণ, নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ভারতে এটি আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েই এগোচ্ছি আমরা।”
“এই মুহূর্তে ইভেন্টের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। তবে আমাদের বিকল্প পরিকল্পনা আছে, সঠিক সময়ে এর বাস্তবায়ন আমরা করতে পারব।”
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এখনও পর্যাপ্ত সময় আছে বলে মনে করেন অ্যালারডাইস। আপাতত তাদের নজর আগামী ১৮ জুন সাউথ্যাম্পটনে শুরু হতে যাওয়া ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দিকে।
“আমরা নির্ধারিত সময়ের ধারেকাছেও যাইনি। পরিস্থিতি দেখার জন্য আমাদের হাতে বেশ কয়েক মাস সময় আছে, এই সময়ে ক্রিকেট কীভাবে হচ্ছে সেটি আমরা দেখব। মাস দুয়েকের ব্যবধানে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আসছে। দুই দলের একটি ম্যাচ হলেও এটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। এই মুহূর্তে দুই দলের সঙ্গেই আমাদের পরিকল্পনা এগোচ্ছে।”
বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে চলে এসেছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন। তবে বিশ্বকাপের মতো ইভেন্টগুলোর আগে সব দলকে ভ্যাকসিন নিতে বাধ্য করার মতো অবস্থায় আইসিসি নেই বলে জানালেন অ্যালারডাইস। যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।