বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কক্সবাজার শহরের কলাতলীর আবাসিক হোটেল সেন্টমার্টিন রিসোর্ট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা বলে ডিবি পুলিশের ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন, টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার দরিহাসিলের আব্দুল মান্নানের ছেলে শামীম হোসেন (২৪), একই থানার ব্রাহ্মণবাড়ী এলাকার আনিসুল হকের ছেলে মো. আতিকুর রহমান (২৪) এবং তবানিটেকি এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে নুরুল ইসলাম বাবুল (২৫)।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের প্রতিষ্ঠানে শামীম সুপারভাইজার, আতিকুর রহমান বিক্রয় প্রতিনিধি এবং নুরুল ইসলাম বাবুল অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গোয়েন্দা ওসি মোহাম্মদ আলী বলেন, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা সদরের নগদ এজেন্টের মা এন্টারপ্রাইজ নামের এক প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মচারী গত ৩ এপ্রিল ‘নগদ ও ট্রানজেকশন’ এর মাধ্যমে ৯৮ লাখ টাকার বেশি আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান। পরে প্রতিষ্ঠানটির মালিক নানা জায়গায় তাদের খোঁজ করেও সন্ধান পাননি।
পরে মা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মহিউদ্দন সুমন বাদী হয়ে গত ৪ এপ্রিল ঘাটাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এবং পরে টাকা আত্মসাতকারী কর্মচারীরা কক্সবাজার রয়েছে বলেও জেলা পুলিশকে অবহিত করেন মহিউদ্দন।
ওসি বলেন, ” খবরটি অবহিত হওয়ার পর ডিবি পুলিশ টাকা আত্মসাতকারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে বুধবার সন্ধ্যায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়। পরে ডিবি পুলিশের একটি দল কক্সবাজার শহরের কলাতলীর সেন্টমার্টিন রিসোর্ট থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।”
মা এন্টারপ্রাইজের মালিক মহিউদ্দন সুমন মোবাইল ফোনে জানান, ঘটনার পরদিন ৪ এপ্রিল ঘাটাইল থানায় তিন কর্মচারীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। বুধবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ৩ জনকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তারের পর ঘাটাইল থানায় মামলা নথিভূক্ত হয়েছে।
ডিবি ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারদের টাঙ্গাইল নিয়ে যেতে ঘাটাইল থানা পুলিশের একটি দল কক্সবাজারের উদ্দ্যেশে রওনা দিয়েছে। পুলিশের ওই দলটি কক্সবাজার পৌঁছালে গ্রেপ্তারদের হস্তান্তর করা হবে।