বুধবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নিয়মিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
জিরো কুপন গ্রিন বন্ড ছেড়ে তোলা
টাকা দিয়ে সাজেদা ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্র ঋণের কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশ
উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
বন্ডের প্রতি ইউনিটের দাম হবে
১০ লাখ টাকা, বন্ডের মেয়াদ হবে ২ বছর।
এটি হবে নন-কনভার্টেবল বন্ড, আনসিকিউরড বন্ড
ও রিডিমেবল। অর্থাৎ বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে না; বন্ড ছাড়তে কোনো জামানত
দিতে হবে না; এবং মেয়াদ শেষে সুদাসলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল
ফান্ড, ইনস্যুরেন্স
কোম্পানি, তালিকাভুক্ত
ব্যাংক, সমবায়
ব্যাংক, আঞ্চলিক
রুরাল ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাস্ট ও স্বায়ত্তশাসিত
করপোরেশন এই বন্ড কিনতে পারবে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে আছে
সেনা কল্যাণ ইন্সুরেন্স। আর লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে আছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
।
বিএসইসি জানিয়েছে, এটি বাংলাদেশের প্রথম গ্রিন
বন্ড।
বৈশ্বিক পুঁজিবাজারের চর্চায়
গ্রিন বন্ডের ক্ষেত্রেও অন্য বন্ডের মতোই মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীদের সুদ দিতে হয়। তার
সঙ্গে বাড়তি বন্ড ছাড়া কোম্পানিকে পরিবেশ উন্নয়নের জন্য কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা
পূরণ করতে হয়।
এর জন্য কোম্পানির বিশেষ
সুবিধা পাওয়ার ঘটনা বিশ্বে খুবই কম। তবে পরিবেশ উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে বিনিয়োগকারীরা
একই মানের সাধারণ বন্ডের চেয়ে এই বন্ড থেকে কম লাভ বা সুদে সন্তুষ্ট থাকে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র
রেজাউল করিম বলেন, সাজেদা ফাউন্ডেশন এই গ্রিন বন্ডের টাকা কৃষিকাজে, স্যানিটাইজেশনে
ও সোলার প্রকল্পে ব্যয় করবে।
“বিশ্বের অন্যান্য দেশে গ্রিন বন্ডে
সুদের হার কম থাকে। বাংলাদেশে সেটা এখনই সম্ভব হচ্ছে না। কারণ বাংলাদেশে সঞ্চয়পত্রের
সুদের হার অনেক বেশি। এখানে সুদের হার কম দিলে কোনো টাকা পাওয়া যাবে না।”