৩ এপ্রিল মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ হিসেবে মিথিলার নাম ঘোষণার পর ২০১৮ সালে দেওয়া তার এক সাক্ষাৎকারের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেইসবুকে।
এতে উপস্থাপকের সঙ্গে আলাপকালে তানজিয়া জামান মিথিলার সঙ্গে আরেক মডেল সামিরা খান মাহি জানান, ‘মজার ছলে’ ধারণকৃত সেই ভিডিওটি ফেইসবুকেও প্রকাশ করেছিলেন তারা। তাদের এই কাণ্ডকে ‘হয়রানি’ হিসেবে তুলে ধরে ফেইসবুকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেউ কেউ।
তোপের মুখে এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে ক্ষমা চেয়েছেন মিথিলা; যদিও পরে স্ট্যাটাসটি ‘হাইড’ করে নেন বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাতে মিথিলা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি যেটাই করেছি ভুল করেছি। আমি মাফ চাইছি। মানুষ ভুল করে এটাই স্বাভাবিক। কেউ ভুল করে যদি মাফ চায় তারপর তো আর প্যাঁচানোর কিছু নাই।
“মানুষ ছোট থাকতে বা অনেকে না বুঝে ভুল করে ফেলে। মানুষ যদি কারও কাছে মাফ চায় সেখানে আমরা মাফ করে দিতেই পারি।”
যে পুরুষের ভিডিওচিত্র ধারণ করেছিলেন তিনি তার কাছের বন্ধু ছিলেন দাবি করে মিথিলা বলেন, “ও যদি বিষয়টাকে হয়রানি মনে না করে তাহলে মানুষ কেন আমাকে বিচার করবে যে, আমি হয়রানি করেছি তাকে। তারপরও আমি মাফ চেয়েছি। এখন ওরাই আমাকে হয়রানি করছে।”
নানা বিতর্কের মধ্যে প্রায় দশ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হয়েছেন মাগুরার মেয়ে মিথিলা; যিনি আগে থেকেই মডেল হিসেবে পরিচিত। মডেলিংয়ের পাশাপাশি তিনি ‘রোহিঙ্গা’ নামে বলিউডের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এসেছেন।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১৬ মে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় ৬৯তম মিস ইউনিভার্স-২০২০ প্রতিযোগিতার মূল মঞ্চে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার কথা রয়েছে মিথিলার। মূল মঞ্চে উঠার আগে একের পর এক বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে এ মডেলকে।
ভিডিও বিতর্কের পর তার বয়স নিয়েও বিতর্ক চলছে ফেইসবুকে। মিস ইউনিভার্সের নীতিমালায় অংশগ্রহণকারীদের বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে হওয়ার বিধি থাকলেও মিথিলার বয়সের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে এসেছে।
তা অস্বীকার করে মিথিলা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি আগেই আয়োজকদের পাসপোর্ট ও জন্ম নিবন্ধন দিয়ে দিয়েছি। এটা না দিয়ে আবেদন করা যায় না। তাদের (আয়োজক) কাছে আমার সব ইনফরমেশন আছে।
“বাংলাদেশের আয়োজকদের পাশাপাশি আমেরিকার আয়োজকদের (মূল আয়েোজক) কাছেও তথ্যগুলো আছে। যারা এগুলো নিয়ে বলতেছেন কিংবা বানাচ্ছেন তারা ফেইক বানাচ্ছেন। কারা করতেছেন আমি জানি না।”
এর আগে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের আরেক প্রতিযোগী শান্তা পাল অভিযোগ তুলেছিলেন, মিথিলা নিয়ম মেনে অডিশনে অংশগ্রহণ করেননি।
বিজয়ী হওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিথিলা বলেছিলেন, ‘আমি যদি অডিশনে নাই আসতাম, আগের যে এপিসোডের অডিশনের ভিডিও এসেছে, সেগুলো আসত না।
“একজন মডেল হয়ে আরেকজন মডেলকে নিয়ে এই ধরনের কথা বলা একদম ঠিক নয়। আমাদের উচিত একজন আরেক জনকে আরও সম্মান করা, যেন আরও ভালো করতে পারি।”
মিথিলার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর শফিকুল ইসলামের কোনও বক্তব্য জানা যায়নি।