দক্ষিণ মুগদায় একটি সাততলা
বাড়ির তিনতলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তনিমা রহমান (২০) নামে ওই তরুণী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়
তনিমা ছাদ থেকে লাফ দেন বলে জানান তার বাবা এস মিজানুর রহমান।
তিনি বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার মেয়ের মেডিকেলে পড়ার খুব ইচ্ছা ছিলো। রেজাল্টের পর
সে ভেঙে পড়ে। আমরা অনেক বুঝিয়েছিলাম। ডেন্টালে ভর্তির জন্য চেষ্টাও করতে বলেছিলাম।
কিন্তু আমার অভিমানী মেয়েটা কারও কথা শুনল না।”
গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা। তাতে অংশ নিয়ে অনুত্তীর্ণ হয়েছিলেন তনিমা। তনিমা মুগদা
আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার নলতায়।
দুই ভাইবোনের মধ্যে তনিমা ছোট। তার বাবা মিজানুর একজন শিক্ষক।
তনিমার বাবা কান্নাজড়িত
কণ্ঠে বলেন, “আমার মেয়েকে আমরা কখনও কিছু নিয়ে জোর করি নাই। মেডিকেলে চান্স না
পাওয়ায় মন খারাপ ছিলো। আমরা খুব চেষ্টা করেছি তার মন ভালো রাখার। তবুও মেয়েটাকে
ধরে রাখতে পারলাম না।”

প্রতীকী ছবি
তিনি জানান, সন্ধ্যার
পর কাউকে কিছু না বলে তনিমা ছাদে চলে গিয়েছিলেন। এরপর হঠাৎ উপর থেকে কিছু পড়ে
যাওয়ার শব্দ পেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে তারা দেখতে পান তনিমা মাটিতে পড়ে আছেন।
সেই অবস্থায় তাকে ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ৮টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা
করেন।
মুগদা থানার এসআই
নগেন্দ্র কুমার দাস জানান, তনিমার বাবা বাদী হয়ে মুগদা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা
করেছেন। লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।