এক
শোক বিবৃতিতে জোটের নেতারা বলেন, “ছাত্র জীবন থেকেই মোর্শেদ আলী শোষণমুক্ত সমাজের স্বপ্ন
দেখতেন এবং তা বাস্তবায়নের সংগ্রামে নিজেকে উৎসর্গ করেন। তিনি ছাত্র অবস্থায়ই কৃষকদের
ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের সংগ্রামে অংশ নিয়ে কৃষকদের সংগঠিত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন
এবং কৃষক মিছিল থেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন।
“তার
মৃত্যুতে দেশের শ্রমজীবী মানুষ এক অকৃত্রিম বন্ধুকে হারালো এবং বামপন্থী আন্দোলনেরও
অপূরণীয় ক্ষতি হলো।”
বিবৃতিতে
নেতৃবৃন্দ মোর্শেদ আলীর শোষণমুক্ত সাম্য সমাজ নির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সংগ্রাম
এগিয়ে নেয়ার জন্য সকল বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান
জানান।
বিবৃতিদাতাদের
মধ্যে রয়েছেন- বাম জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির
সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল
ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান,
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী) এর সাধারণ
সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি,
ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী
পার্টির সাধারণ সম্পদক মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক
ইকবাল কবির জাহিদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক।
বুধবার
সকাল সাড় ৭টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ)
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৬ বছর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোর্শেদ আলীর মৃত্যু হয়।
গত
২৬ মার্ট মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মোর্শেদ আলীকে।
মোর্শেদ
আলী ৬৬-৬৭ সালে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মোর্শেদ
আলী সিপিবির কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন
কেন্দ্রের (টিইউসি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ
কৃষক সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন।
উনসত্তুরের
গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, এরশাদ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, শ্রমিক ও কৃষক
আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন মোর্শেদ।
মুক্তিযুদ্ধের
পর থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা মহানগরে কমিউনিস্ট পার্টির মুখ্য নেতা হিসেবে কাজ
করেছেন।
এদিকে
পৃথক শোকবার্তায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং সাধারণ সম্পাদক
ফজলে হোসেন বাদশা মোর্শেদ আলীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।
মোরশেদ
আলীর মরদেহ হাসপতাল থেকে সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেওয়া হলে বাম জোট, সিপিবি, ওয়ার্কার্স
পার্টিসহ বাম দলের নেতারা তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।