গত মাসে রাজ্যটির আইনসভার ভোটে পেলের
নামানুসারে স্টেডিয়ামটির নাম ‘এদসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো-হেই পেলে স্টেডিয়াম’, সংক্ষেপে ‘কিং পেলে স্টেডিয়াম’ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্তে
ভেটো দিয়েছিলেন রাজ্য গভর্নর ক্লাউদিও কাস্ত্রো।
১৯৫০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালের পাশাপাশি
এই মাঠে হয়েছে ২০১৬ অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনেক আগে স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা
হয়েছিল মারিও ফিলহোর নামে, যিনি ছিলেন একজন সাংবাদিক। তিনি ১৯৪০ সালে স্টেডিয়ামটি নির্মাণের
পক্ষে তদবির করেছিলেন।
ব্রাজিলের বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়াম। ফাইল ছবি
অধিকাংশ ব্রাজিলিয়ান এটাকে ডাকেন শুধুই
মারাকানা নামে। নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করাদের অনেকের যুক্তি, রিওর বাসিন্দা
নয় এমন কারো নামে স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা ঠিক হবে না।
প্রতিবাদকারীদের মধ্যে আছেন পেলের ১৯৭০
বিশ্বকাপজয়ী দলের সতীর্থ জেরসন এবং মারিও ফিলহোর নাতি। জেরসন এটাকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মত দেন।
ব্রাজিলের হয়ে এই মাঠে অনেক ম্যাচ খেলেছেন
তিনবার বিশ্বকাপ জেতা একমাত্র ফুটবলার পেলে। ক্যারিয়ারে নিজের হাজারতম গোলটিও তিনি
করেছিলেন এই মাঠে, ১৯৬৯ সালে সান্তোসের হয়ে স্থানীয় ক্লাব ভাস্কো দা গামার বিপক্ষে।
গত বছর ৮০ পার করা পেলের জন্ম মিনাস
জেরাইস রাজ্যে এবং জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি কাটিয়েছেন সাও পাওলোয়।