ক্যাটাগরি

পোর্তোকে হারিয়ে সেমির পথে চেলসি

সেভিয়ায় বুধবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতেছে
চেলসি। ম্যাসন মাউন্ট ইংলিশ দলটিকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান বেন চিলওয়েল।

টুখেল দায়িত্ব নেওয়ার পর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৪ ম্যাচ
অপরাজিত থাকার পর গত শনিবার লিগে ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিয়নের বিপক্ষে ৫-২ গোলে
হারে চেলসি। অনুশীলনে সংঘাতে জড়ান দলটির দুই সদস্য কেপা আরিসাবালাগা ও আন্টোনিও
রুডিগার। প্রিমিয়ার লিগে বড় হার আর মাঠের বাইরের অনাকাঙ্ক্ষিত ওই ঘটনার পর ঘুরে
দাঁড়াল চেলসি।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভ্রমণে বিধিনিষেধের কারণে দল দুটির মধ্যে
শেষ আটের দুই লেগই সেভিয়ায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

শুরু থেকে বল দখলে আধিপত্য করে চেলসি। কিন্তু খুব ভালো সুযোগ তৈরি
করতে পারছিল না তারা। প্রতি আক্রমণে সুবিধা করতে পারছিল না পোর্তোও।

৩২তম মিনিটে গোলের উদ্দেশে প্রথম শটেই এগিয়ে যায় চেলসি। জর্জিনিয়োর
পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন
মাউন্ট।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইংলিশ এই মিডফিল্ডারের এটাই প্রথম গোল।
প্রতিযোগিতাটির নকআউট পর্বে চেলসির সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হলেন তিনি (২২ বছর ৮৭ দিন)।

আতলেতিকো মাদ্রিদকে শেষ ষোলোর দুই লেগেই হারিয়ে সাত বছর পর
কোয়ার্টার-ফাইনালে আসা চেলসির প্রথমার্ধে শট ছিল ওই একটিই। এই সময়ে পোর্তোর আট
শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে। বিরতির আগে দলটির অধিনায়ক পেপের শট ঠেকান গোলরক্ষক এদুয়াঁ
মঁদি।

৫৫তম মিনিটে পোর্তোর ফরোয়ার্ড লুইস দিয়াসের ডি-বক্সের বাইরে থেকে
নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ৬০তম মিনিটে রুডিগারের শট গোলরক্ষক ঠেকানোর
পর চলে যায় টিমো ভেরনারের পায়ে। তার পাসে কাছ থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি কাই
হার্ভাটজ।

৮৪তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পাননি ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক। তার শট
ব্যর্থ হয় ক্রসবারে লেগে। পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন চিলওয়েল। প্রতিপক্ষের
ভুলে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে কাটিয়ে ফাঁকা জালে পাঠান এই ইংলিশ
ডিফেন্ডার।

আগামী মঙ্গলবার হবে ফিরতি লেগ।