ডেটা বেহাত হওয়ার পরপর ব্যবহারকারীদের কিছু জানায়নি ফেইসবুক। বুধবার প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বর্তমানেও আক্রান্ত ব্যবহারকারীদের অবহিত করার কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের।
গত সপ্তাহের বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদন বলছে, অনলাইনে পাবলিক ডেটাবেইজেই পাওয়া যাচ্ছে ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর ও অন্যান্য বিস্তারিত।
ফেইসবুক এ প্রসঙ্গে বলছে, “ক্ষতিকর ব্যক্তিরা” ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের আগেই ডেটা হাতিয়ে নিয়েছিল। এ কাজে সামাজিক মাধ্যম সেবাটির ‘সিঙ্ক কনট্যাক্টস’ টুলের দূর্বলতার সুযোগ নিয়েছিল তারা।
রয়টার্স সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সে সময় এক ফিচারের ত্রুটির সুযোগ নিয়েছিল হ্যাকাররা। পরে নিজেদের সমস্যা খুঁজে বের করে সেটির সমাধান করে ফেইসবুক।
কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যবহারকারীর ডেটা ওই ঘটনার শিকার হয়েছিল কি না সেটা জানার রাস্তা ফেইসবুক কঠিন থেকে কঠিনতর করে তুলেছে বলে মন্তব্য উঠে এসেছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, ফিচারের ত্রুটি ওই সময়েই সারিয়ে টুলটি পরিবর্তন করে দিয়েছিল ফেইসবুক।
ফেইসবুকের দাবি, আর্থিক তথ্য, স্বাস্থ্য তথ্য বা পাসওয়ার্ডের মতো ডেটা খোয়া যায়নি। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, খোয়া যাওয়া ডেটা হ্যাক বা অন্যান্য হয়রানির কাজে ব্যবহার করা হতে পারে।
ফেইসবুক ব্যবহারকারীর গোপনতা কীভাবে রক্ষা করে তা নিয়ে অনেকদিন থেকেই তদন্ত চলছে। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ইউএস ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফিটিসি) সঙ্গে মাইলফলক সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি। সে সময় ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের ডেটা অপব্যবহার করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছিল সংস্থাটি।
এফটিসি’র সঙ্গে ফেইসবুক যে সমঝোতায় এসেছিল, তাতে রয়েছে – ৫০ কোটি বা তার বেশি ব্যবহারকারীর ডেটায় কোনো অননুমোদিত প্রবেশের ঘটনা ঘটলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে ফেইসবুককে। এবং এটি করতে হবে এরকম ঘটনা নিশ্চিত করার ৩০ দিনের মধ্যে।
এদিকে, আয়ারল্যান্ডের ‘ডেটা প্রটেকশন কমিশন’ এবং ইউপিয়ার ইউনিয়নের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা মঙ্গলবার যোগাযোগ করেছে ফেইসবুকের সঙ্গে। তারা জানিয়েছে, ফেইসবুকের পক্ষ থেকে কোনো ‘প্রোঅ্যাকটিভ যোগাযোগ” করা হয়নি, তবে, এখন যোগাযোগ চলছে।
নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে সে ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি ফেইসবুক মুখপাত্র। শুধু জানিয়েছেন, তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে যোগাযোগ করা হয়েছে।