ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় কোয়ার্টার-ফাইনালের
প্রথম লেগে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বুধবার কিলিয়ান এমবাপের জোড়া গোলে ৩-২ ব্যবধানে জেতে
পিএসজি।
গত আসরের ফাইনালে বুন্ডেসলিগার দলটির
বিপক্ষে হারের প্রতিশোধের প্রথম ধাপ পেরিয়েছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠে বাকি কাজ
সারার সুযোগ প্যারিসের দলটির সামনে। আগামী মঙ্গলবার ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে দল দুটি।
প্রথম আধা ঘণ্টায় পিএসজি দুই গোলে এগিয়ে
গেলেও পরে লড়াইটা হয়ে ওঠে দারুণ রোমাঞ্চকর। গোলপোস্টে কেইলর নাভাস ছিলেন যেন চীনের
প্রাচীর হয়ে। বায়ার্নের ৩১ শটের ১২টি ছিল লক্ষ্যে, এর ১০টি ঠেকিয়েছেন কোস্টা রিকার
এই গোলরক্ষক। কেবল ৩৬ শতাংশ বলের দখল রেখে ১২টি শটের ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পারে পিএসজি।
মূলত এমবাপের নিখুঁত দুই ফিনিশিংই ব্যবধান গড়ে দেয়।
ফিরতি পর্বেও মৌসুমে নিজেদের সর্বোচ্চ
গোলদাতা রবের্তো লেভানদোভস্কিকে পাবে না বায়ার্ন। তবে পচেত্তিনোর বিশ্বাস, এরপরও প্যারিসে
হুমকি হয়ে উঠতে পারে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
আগের রাউন্ডে বার্সেলোনার মাঠে ৪-১
গোলে জিতে কোয়ার্টার-ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল পিএসজি। ফিরতি লেগে প্যারিসে লড়াই
করলেও আদতে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জই জানাতে পারেনি বার্সেলোনা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ড্র
হয় ১-১ গোলে।

পিএসজি কোচ মাওরিসিও পচেত্তিনো।
বায়ার্নের বিপক্ষে ব্যবধান খুব বেশি
নয়। তাই নিজেদের মান ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন পচেত্তিনো।
“(শেষ ষোলোয়) বার্সেলোনার বিপক্ষে প্রথম লেগের
তুলনায় এই ফল সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে আমরা সম্ভাব্য সবচেয়ে কম ব্যবধানে এগিয়ে।”
“আশা করি, এবার ফিরতি লেগে আমাদের পারফরম্যান্স
বার্সেলোনা ম্যাচের চেয়ে ভালো হবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য। তবে ভালো ফল পাওয়া সবসময় অনেক
কিছুর ওপর নির্ভর করে।”
১৯৯৪ সালের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স
লিগে বায়ার্নের মাঠে জিতল পিএসজি। কঠিন পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়রা যেভাবে সাড়া দিয়েছে তাতে
খুশি পচেত্তিনো।
“কঠিন পরিস্থিতিতে ইউরোপের সেরা দলের বিপক্ষে
দল যে মনোভাব দেখিয়েছে তাতে এবং ম্যাচের ফলে আমি খুশি। অবশ্যই খেলোয়াড়দের সাধুবাদ জানাতে
হবে, আমরা এই ধরনের পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করব।”
“আজ (বুধবার) রাতে আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার
করেছি। তবে আমাদের আরও একটি ম্যাচ আছে, ৯০ মিনিটের খেলা এখনও বাকি। প্রথম লেগ অনুকূলে
থাকলেও ফিরতি লেগ হবে কঠিন, যেমনটা আমরা জানি।”