বৃহস্পতিবার
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানিয়েছেন, এ অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে এ তথ্য উঠে
এসেছে।
তিনি
জানান, বুধবার রাতে তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। রিপোর্টে অভিযোগের
আংশিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে।
পুরোনো
তালিকা বাতিল করে নতুন তালিকা করা হবে বলেন তিনি।
গত
বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকরে কার্যালয়ের সামনে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে পুরোনো
তালিকার ‘জেলেদের’ মাঝে বিকল্প কর্মসংস্থানের সহায়তা হিসেবে রিকশাভ্যান বিতরণ করা
হচ্ছিল।
জেলা
মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান চলাকালে বঞ্চিত জেলে ও সাংবাদিকরা তালিকায়
প্রকৃত জেলেদের নাম থাকার অভিযোগ তুললে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্যান বিতরণ বন্ধ করে
তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।
এ
ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য
বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, সদস্য সচিব নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম এবং সদস্য সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জামাল
উদ্দিন।
জেলা
প্রশাসক বলেন, দীর্ঘদিন যাবত জেলেদের তালিকা হালনাগাদ করা হয়নি। এর ফলে অনেকেই
জেলেদের তালিকায় রয়ে গিয়েছে। যারা এখন আর এই পেশায় নেই। আবার নতুন করে অনেকে জেলে
পেশায় এসেছেন, যাদের নিবন্ধন করা হয়নি।
জেলেদের
তালিকার হালনাগাদ আরও আগেই করা উচিত ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি জেলে তালিকার
হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছি। অচিরেই তা বাস্তবায়ন করা হবে।
চাঁদপুরে
৫১ হাজার ১৯০ জন জেলের মধ্যে ৪০ হাজার ৫ জনকে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন ৪ মাস ৪০ কেজি
করে খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল প্রদান করা হয়।