বৃহস্পতিবার দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস) এ তিনি টিকার এ ডোজটি নিয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
১ মার্চ টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ৩৭ দিন পর তিনি দ্বিতীয় ডোজ নিলেন। টুইটারে নিজের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার একটি ছবি পোস্ট করে টিকা নেওয়ার যোগ্য সবাইকে দ্রুত তা নিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১ মার্চ ভারতে টিকাদান কর্মসূচীর দ্বিতীয় পর্বে প্রথম টিকা নেওয়া ব্যক্তি ছিলেন মোদী। ওই পর্বে দেশটির ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী ও ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সী গুরুতর অসুস্থদের টিকা নেওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত করা হয়েছিল।
মোদী ভারত বায়োটেক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) তৈরি করোনাভাইরাস টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’নিয়েছেন।
টুইটে মোদী বলেন, “আজ এআইআইএমএসে কোভিড-১৯ টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলাম। ভাইরাসকে হারানোর যে অল্প কয়েকটি উপায় আমাদের আছে তার মধ্যে টিকা অন্যতম। আপনি টিকা নেওয়ার যোগ্য হলে দ্রুত নিয়ে নিন।”
ভারতে টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করার পোর্টল কোউয়িন ওয়েবসাইটে এই টুইটের লিঙ্ক শেয়ার করেছেন মোদী, জানিয়েছে এনডিটিভি।
টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার সময় মোদীর মুখে মাস্ক না থাকলেও এবার ছিল। প্রথমবার মাস্ক না পরে টিকা নেওয়ায় সামালোচনার শিকার হয়েছিলেন তিনি।
চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে করোনাভাইরাস টিকা দেওয়ার কর্মসূচী শুরু হয়। প্রথম পর্বে দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা ও অন্যান্য সামনের সারির কর্মীরা টিকা নেওয়ার সুযোগ পান।
ভারতের টিকা কর্মসূচীতে কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি অক্সফোড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার অংশদারীত্বে উদ্ভাবিত ও পুনেভিত্তিক সেরাম ইনিস্টিটিউটের উৎপাদিত কোভিশিল্ডও ব্যবহার করা হচ্ছে।