ময়নাতদন্তকারী
কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাসের সভাপতি হাসমত মোবিন
এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মা-বাবা-বোন-নানীর জন্য দুটি করে মোট ৮টি বুলেট
ব্যবহার করা হয়। এরপর দুটি বুলেট দিয়ে দুই ভাই আত্মহত্যা করে।”
গত
সোমবার টেক্সাস সিটির ডালাস সংলগ্ন এলেন সিটির বাসা থেকে তৌহিদুল ইসলাম (৫৬), তার
স্ত্রী আইরিন ইসলাম (৫৫), শাশুড়ি আলতাফুন্নেসা (৭৭), মেয়ে পারভিন তৌহিদ (১৯), দুই
ছেলে তানভির তৌহিদ (২১) ও ফারহান তৌহিদের (১৯) লাশ উদ্ধার করা হয়।
সপরিবারে তৌহিদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
ধারণা
করা হচ্ছে, বিষণ্নতায় বিপর্যস্ত ফারহান ও তানভির মা-বাবা-বোন আর নানীকে গুলি করে
হত্যার পর আত্মহত্যা করেন।
বৃহস্পতিবার
বেলা ২টায় এলেন মসজিদে জানাজা শেষে ডেন্টন মুসলিম সিমেট্রিতে ছয়জনকেই দাফন করা হবে
বলে জানান মোবিন।
তিনি
বলেন, তাদের দাফনের ব্যয় আপাতত স্থানীয় মসজিদ দিচ্ছে। পরবর্তীতে তহবিল সংগ্রহ করে সে
অর্থের সমন্বয় ঘটানো হবে।
টেক্সাসের বাড়িতে ৬ বাংলাদেশির লাশ, ‘হত্যার পর আত্মহত্যার’ ধারণা
তৌহিদুলের ‘সুখী’ পরিবারে কী অশান্তি চলছিল, তদন্তে পুলিশ
এদিকে
নিহতদের স্মরণে বুধবার সন্ধ্যায় এলেন সিটির সেলিব্রেশন পার্কে ‘মোমবাতি প্রজ্জ্বালন
কর্মসূচি’তে সিটি মেয়র কেন ফাকসহ দু’শতাধিক শোকার্ত মানুষের সমাগম ঘটে।
এতে স্মৃতিচারণে
তৌহিদুলের পারিবারিক বন্ধু ব্যবসায়ী শাহীন হাসান বলেন, “সন্তানের ব্যাপারে প্রতিটি
অভিভাবকেরই আন্তরিক হতে হবে। তাদেরকে সময় দিতে হবে। জোর করে কোনোকিছুই চাপিয়ে দেওয়া
ঠিক নয়। তাহলেই এহেন দুঃখজনক পরিস্থিতির অবতারণা হবে না।”
সিটি মেয়রও
একই আহবান জানিয়ে বলেন, কারও কোনো সমস্যা হলে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশ
অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাসের জেনারেল সেক্রেটারি নাহিদা আলী বলেন, “সকলের প্রিয়-পরিচিত
একটি পরিবারকে হারানোর এই শোক কখনোই দূর হবে না। তবে এটি একটি শিক্ষা দিয়ে গেল সকলকে।
আমরা যেন সন্তানের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকি।”