কয়েক মাস আগে কায়রোর একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার তার এ সাজা মিলল।
২০১৩ সালে মিশরের ক্ষমতা থেকে উৎখাত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে যে সাঁড়াশি অভিযান চলছে, তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরের অগাস্টে নিরাপত্তা বাহিনী কায়রোর ‘ফিফথ সেটেলমেন্ট’ জেলা থেকে ইজাতকে গ্রেপ্তার করেছিল।
ব্রাদারহুড সদরদপ্তরের বাইরে ২০১৩ সালে সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে অস্ত্র সরবরাহ ও সহিংসতায় প্ররোচনা দেওয়ার দায়ে তার আমৃত্যু কারাবাসের সাজা মিলেছে বলে আদালতের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
একই মামলায় ব্রাদারহুডের আরও অনেক নেতাকেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রায়ের পর তাৎক্ষণিকভাবে ইজাতের আইনজীবীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইজাতের গ্রেপ্তারের পর ব্রাদারহুড তাকে ‘মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে’ বলে দাবি করেছিল।
ইসলামপন্থি এ দলটির সাবেক নেতা মোহাম্মদ বাদায়ির সাবেক সহকারিদের মধ্যে ইজাত বেশ প্রভাবশালী ছিলেন।
২০১৩ সালের অগাস্টে বাদায়ি গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইজাতই ব্রাদারহুডের ভারপ্রাপ্ত নেতা হন। তার অনুপস্থিতিতে হওয়া বিচারে তাকে মৃত্যুদণ্ড ও আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হলেও, আটকের পর ইজাতকে ফের বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
ব্রাদারহুডের নেতাদের অনেকেই এখন হয় মিশরের কারাগারে বন্দি না হয় দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
মিশরের সরকার ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে মৌলবাদ ও উগ্রপন্থা উসকে দেওয়ার অভিযোগ করছে। যদিও দলটি প্রথম থেকেই তা অস্বীকার করে আসছে।