বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার ইরানের ‘দ্য সাভিজ’ নামের ওই জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করে কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘ওটি একটি বেসামরিক জাহাজ। যেটি ওই অঞ্চলে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অন্যান্য জাহাজকে নিরাপত্তা দিতে সেখানে নোঙ্গর করে ছিল।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে (০৩:০০ জিএমটি) দ্য সাভিজে বিস্ফোরণ ঘটনো হয় বলে জানান তিনি। যাতে জাহাজের সামান্যই ক্ষতি হয়েছে।
বলেন, ‘‘এ ঘটনায় প্রযুক্তিগত বিষয় এবং কী কারণে বিস্ফোরণ হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
‘‘এটা সামরিক জাহাজ নয়। এটিকে ওই অঞ্চলে নৌপথে জাহাজ চলাচলে নিরাপত্তা দেয়া এবং জলদস্যুদের সঙ্গে যুদ্ধে সাহায্যের জন্য পাঠানো হয়েছিল।”
এখন পর্যন্ত কেউ ওই জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটনোর দায় স্বীকার করেনি। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে দ্য সাভিজে হামলা চালানোর কথা বলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে ওই জাহাজে হামলার কথা বলেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ইরানের জাহাজটির পানির নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘‘এর আগে ইসরায়েলের জাহাজে ইরানের হামলার প্রতিশোধ নিতে তারা এ হামলা চালিয়েছে।”
এ বিষয়ে ইসরায়েলের কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করেননি। তবে সম্প্রতি দুই চিরবৈরী দেশ একে অপরের মালিকানাধীন জাহাজে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে।
ইরানের ওই জাহাজে বিস্ফোরণের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী কোনোভাবেই জড়িত নয় বলে জানায় দেশটির সেনাবাহিনীর সেন্ট্রার কমান্ড।
ইরানের কর্মকর্তারাও এখনো কারো দিকে অভিযোগের তীর ছোড়েননি।