সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়েই তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানান ঢাকা মহানগর ডিএমপি কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই অপহরণ চক্রে মোট ছয়জন ছিল। চারজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়ের করার পর তাদের র্যাবের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
শুক্রবার বিকালে পুলিশ ওই চারজনকে র্যাবের হাতে তুলে দেয়।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতীকী ছবি
তিনি বলেন, “কোনো ধরনের সহানুভূতি দেখানো হবে না। এই পর্যন্ত র্যাবে যতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বাহিনী কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় নেয় না। র্যাবে অপরাধ করলে শাস্তি দেওয়ার গড় শতভাগ।”
গ্রেপ্তার র্যাব সদস্যদের পরিচয় জানাতে চাননি কমান্ডার মঈন।
তারা কোন ব্যাটালিয়নের- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এরা নির্দিষ্ট কোনো ব্যাটালিয়নের নয়।”
মুক্তিপণ চেয়েছিল
২ কোটি টাকা
যে
ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল, তার মুক্তিপণ দুই কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল বলে তার বোন
দাবি করেছেন।
ওই
ব্যবসায়ীর বোন হাতিরঝিল থানায় যে মামলা করেন, তাতে এই টাকার অঙ্কের কথা বলেছেন তিনি।
এজাহারে
বলা হয়, ওই তরুণ ব্যবসায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় হাতিরঝিল থানাধীন মীরবাগের বাসা থেকে
উত্তরার উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন। বেলা ১২টার দিকে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে তার বোনের মোবাইল
ফোনে জানানো হয়, তার ভাই র্যাব হেফাজতে আছেন। ভাইকে মুক্ত করতে হলে ২ কোটি টাকা দিতে
হবে।
পরে
একাধিকবার যোগাযোগ করে মুক্তিপণ ২ কোটি টাকা থেকে প্রথমে ১৫ লাখ পরে ১২ লাখে নেমে আসে
বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ওই
ব্যবসায়ীর বোন ঘটনাটি পুলিশকে জানান। পুলিশের কথা অনুযায়ী তিনি অপহরণকারীদের সঙ্গে
যোগাযোগ রাখেন।
অভিযানে
অংশ নেওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নগদ টাকা নিয়ে ওই ব্যবসায়ীর বোন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়
যমুনা ফিউচার পার্কের কাছে গেলে অপহরণকারীরাও সেখানে আসে। সেখানে অপহরণকারী দুজন এলে
তাদের ধরে ফেলে পুলিশ। তাদের মাধ্যমে দলের অন্যদের হাতিরঝিলে ডেকে এনে তাদেরও গ্রেপ্তার
করা হয় এবং উদ্ধার করা হয় ওই ব্যবসায়ীকে।
এই
অপহরণে জড়িত অভিযোগে এক নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের ভাষ্য, ওই নারীই র্যাব
সদস্যদের কাজে লাগিয়ে অপহরণ করিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ীকে।
চার
র্যাব সদস্যকে র্যাবে দিলেও ওই নারীকে আদালতের মাধ্যমে হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে
পুলিশ।