ক্যাটাগরি

টিকায় রক্ত জমাট বাঁধছে কিনা ‘খতিয়ে দেখছে ভারত’

বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ভারতীয় দৈনিক মিন্ট শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে বানানো অ্যাস্ট্রজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনটি স্থানীয়ভাবে কোভিশিল্ড নামে পরিচিত; আর ভারত বায়োটেকের বানানো টিকাটিকে ডাকা হচ্ছে কোভ্যাক্সিন নামে।

বুধবার ইউরোপের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকার সঙ্গে বিরল ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধার ‘সম্ভাব্য সংযোগ’ পাওয়ার কথা জানানোর পর ভারত টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখার এ পদক্ষেপ নিল।

ইউরোপের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার উপকার ‘এখনও ঝুঁকির চেয়ে অনেক বেশি’ বলে জানিয়েছে।

তাদের এ প্রতিবেদনের পর বেশ কয়েকটি দেশ তরুণদের ওপর অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা প্রয়োগে বিধিনিষেধ দিয়েছে। 

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ভারত এখন নিজেদের জন্য টিকা মজুদের দিকে জোর দিচ্ছে। শুক্রবারও দেশটি সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এক লাখ ৩১ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে।

“কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন দেওয়া লোকজনের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় কিনা, সামান্য হলেও এ ধরনের কোনো ঘটনা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছি আমরা,” মিন্টকে এক কর্মকর্তাকে এমনটাই বলেছেন।

বিশেষজ্ঞ প্যানেলের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে বলেও ধারণা দিয়েছেন তিনি।