ক্যাটাগরি

ত্বকের ‘পিএইচ’ নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা

ত্বক কেবল বাইরে থেকেই স্বাস্থ্যকর ও
সতেজ দেখালে চলবে না, গভীর থেকেও সুন্দর হওয়া প্রয়োজন।

ত্বক বিশেষজ্ঞরা বরাবরই ত্বকের পিএইচ
বা ‘পটেনশিয়াল অব হাইড্রোজেন’য়ের কথা বলে থাকেন।

ত্বক ও প্রসাধনী বিশেষজ্ঞদের মতে স্বাভাবিক
পিএইচের মাত্রা ৪.৭। তাই অনেক সময় প্রসাধনীর ব্যবহার গুরুতর প্রভাব ফেলে।

রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
প্রতিবেদন অবলম্বনে ত্বকের পিএইচ নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণাগুলো সম্পর্কে জানানো হল।

ভুল ধারণা ১: ত্বকে ক্ষারীয় পণ্য ব্যবহার করা উপকারী

ত্বকের পিএইচয়ের মাত্রা ৪.৫ থেকে ৫.৫
এর মধ্য থাকে। যে কারণে অনেকেই মনে করেন, ক্ষারীয় বা ‘অ্যালকালাইন’ সমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার
করা হয়ত উপকারী। ফলে ক্ষারীয় পণ্য দিয়ে গোসল করা ও কসমেটিক প্রসাধনী ব্যবহার করা ত্বকের
জন্য ভালো মনে করা হয়।

তবে ত্বকের পিএইচয়ের মাত্রা কম বেশি এমনই
থাকা উচিত তাও ঠিক নয়। নিয়মিত ‘অ্যালকালাইন’ সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বকে চুলকানি,
শুষ্কতা ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

একই সময়ে বেশি পরিমাণে ক্ষারীয় ও অম্লীয়
পণ্য ব্যবহার করে ত্বকের পিএইচ স্তরের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন মনে হলে এর ব্যবহার কমানো উচিত।
ত্বকের পিএইচের মাত্রা সাধারণভাবেই কিছুক্ষণ পরে নিজের অবস্থানে ফিরে আসে। তবে কোনো
কারণে যদি ত্বক বাইরে থেকে অস্বাস্থ্যকর দেখায় তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে
হবে। এটা ত্বকে চুলকানি, দাগ, সংক্রমণ, ফাটা ও শুষ্কতার লক্ষণ হতে পারে।

এছাড়াও, ত্বকের সংবেদনশীলতার মাত্রা হঠাৎ
পরিবর্তন পিএইচ মাত্রার ভারসাম্যহীনতার লক্ষণ।

ভুল ধারণা ২: ত্বক পরিচর্যার প্রসাধনী ব্যবহারের জন্য অপেক্ষা করা

আরেকটা প্রচলিত ধারণা হল যখন ক্ষারীয়
সাবান দিয়ে গোসল করার পর ময়েশ্চারাইজার বা অন্য কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করার আগে কিছুক্ষণ
অপেক্ষা করা উচিত। এই ভয়ের কারণ, ক্ষারীয় উপাদান সমৃদ্ধ সাবান ব্যবহার করার পর প্রসাধনীর
ব্যবহার ত্বকের পিএইচের স্তরের ক্ষতি করতে পারে।

এই ভ্রান্ত ধারণার উত্তর হল, পানি-ভিত্তিক
দ্রবণের পিএইচয়ের মাত্রা অক্ষত থাকে। এছাড়াও ত্বকে ব্যবহারযোগ্য অধিকাংশ প্রসাধনী যেহেতু
পানি নির্ভর তাই এগুলোর পিএইচয়ের মাত্রা বরাবর তৈরি থেকেই লিপিবদ্ধ করা থাকে। কারণ
হল এতে থাকা শক্তিশালী উপাদানের পিএইচয়ের মাত্রা যেন একই মাত্রায় রাখতে সাহায্য করে।

ভুল ধারণা ৩: পরিবারের অন্যান্যদের তুলনায় আপনার ত্বকের পিএচের মাত্রা আলাদা

অনেকেই জানতে চান কেনো তাদের ত্বকের পিএইচের
মাত্রা পরিবারের অন্যান্যদের চেয়ে আলাদা এবং এই বিষয়ে তারা বেশ উদ্বিগ্নও থাকেন।

উত্তর হল- ত্বকের পিএইচ নির্ভর করে অভ্যন্তরীন
ও বাহ্যিক, দুভাবেই। এর মধ্যে বয়স, জাতি, আবহাওয়া ইত্যাদি জড়িত। তাই ত্বকের পিএইচ পরিবারের
অন্যান্যদের চেয়ে আলাদা হলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই।

ত্বকের পিএইচের মাত্রা ৪.৫ থেকে ৫.৫ য়ের
মধ্যে থাকলে ত্বক মসৃণ, কোমল ও টানটান থাকে।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন

যেসব প্রসাধনী কেবল রাতে ব্যবহার করা উচিত
 

প্রসাধনী হতে পারে ক্ষতির কারণ
 

প্রসাধনী কেনার আগে যা মাথায় রাখবেন