বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সবাইকে তল্লাশির মধ্য দিয়ে ঢুকতে হচ্ছে থানায়।
জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেণ, “সম্প্রতি সারাদেশে বিচ্ছিন্নভাবে
সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও সহিংস ঘটনা হয়েছে। এসব কারণে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নির্দেশনা
দেওয়া হয়েছে থানাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য।
“পুলিশের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সাধারণ জনগণের জানমাল হেফাজত করতে
এবং যেকোনো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধ করতেই থানাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।”
তিনি বলেন, “জেলার সব থানা, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রকে নিরাপত্তা বাড়ানোর
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চেক পোস্টে তল্লাশির ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। কেউ না মানলে তার
বিরূদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান
বলেন, “বাড়তি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে জেলা পুলিশের আওতাধীন সব থানা, ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র
ও স্থাপনাগুলোতে এলএমজি পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।”
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে জেলার সব থানা, পলিশ ফাঁড়ি ও তদন্ত
কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে গুরুত্ব অনুসারে
থানা, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রে মেশিনগান বসিয়ে বালু বা সিমেন্টের বস্তা দিয়ে চৌকি স্থাপন
করা হয়েছে। কিছু থানার ছাদে ও সামনের ফাঁকা স্থানে এ ধরনের চৌকি বসানো হয়েছে।
একই কারণে বৃহস্পতিবার সিলেটের ছয়টি থানায়ও এলএমজি পোস্ট বসানো হয়েছে।