জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া চারদিনের এ কার্যক্রম চলবে রোববার পর্যন্ত।
আয়োজকরা জানান, প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা নাগাদ মোট ৫০০ জনকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে এখানে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হচ্ছে, অর্থাৎ এক ডোজেই পূর্ণটিকার কাজ সারছেন প্রবাসীরা।
সোসাইটি ভবনে টিকা নিচ্ছেন প্রবাসীরা
কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা বলেন, “কাগজপত্রহীন প্রবাসীদের কথা বিবেচনা করে আমরা এ কার্যক্রম চালু করেছি। এখানে টিকা নিতে কাউকে আগাম অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হচ্ছে না। কোন ধরনের ফি-ও নেওয়া হয় না। শুধু নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা এটি প্রমাণ দিয়েই টিকা নিতে পারছেন ১৮ বা তার বেশি বছর বয়সী প্রবাসীরা।”
‘বাংলাদেশ সোসাইটির’ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার বলেন, “চাহিদা প্রচুর। কিন্তু আমাদের নিজস্ব জায়গা খুব ছোট হওয়ায় দৈনিক গড়ে ১২৫ জনকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। তবে চেষ্টা করছি প্রবাসীদের স্বার্থে আরও বেশি মানুষকে টিকা দিতে।”
কর্মসূচি নিয়ে কথা বলছেন সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ. রহিম হাওলাদার, পাশে অপর কর্মকর্তারা
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি নেতা কাজী নয়ন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিক ও কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী।
রুহুল আমিন সিদ্দিক জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের খোঁজ-খবর এবং ঘরবন্দিদের মধ্যে খাবার পৌঁছে দেওয়ার সময় গতবছর আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ, সহ সভাপতি আব্দুল খায়ের ও নির্বাহী সদস্য বাকের আজাদ। তারপরও থেমে থাকেননি অপর কর্মকর্তারা। দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবে আবির্ভূত হয় প্রবাসীদের এ সর্বজনীন সংগঠনটি।