শুক্রবার
থানা থকে মামলার এজাহার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হলে মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া
তা গ্রহণ করে মতিঝিল থানা পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের ওই তারিখ ঠিক করে দেন।
ঢাকা
মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগ থেকে জানানো হয়, মহামারীর মধ্যে নিয়মিত আদালত না বসায় অন্য মামলায় গাজীপুরের কারা হাজতে থাকা রফিকুলকে এ মামলায় গ্রেপ্তার
দেখানো বা রিমান্ড আবেদন
করা সম্ভব হয়নি।
মো. আদনান শান্ত নামের এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যায় রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে
এ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার সৈয়দ
নূরুল ইসলাম বলেন, “রফিকুল ইসলাম মাদানী বিভিন্ন সময় সরকার, দেশবিরোধী বক্তব্য দিয়ে তা বিভিন্ন মাধ্যমে
ছড়িয়ে দেশ ও জনগণের জন্য
হুমকি সৃষ্টি করেছেন- এমন অভিযোগ করেছেন বাদী।”
রফিকুল ইসলাম মাদানীকে বুধবার নেত্রকোনায় তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বৃহস্পতিবার তাকে গাজীপুরের গাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয় ওই থানায়।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি এক
ওয়াজ মাহফিলে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় সেখানে।
ওই মামলায় তাকে বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ঢাকার মতিঝিলে আরেকটি
মামলা হয় রফিকুলের বিরুদ্ধে।
ইসলামী দলগুলোর বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় রফিকুলের বয়স ২৫ বছর হলেও
আকার-আকৃতির জন্য তাকে ‘শিশু বক্তা’ বলে ডাকেন তার ভক্তরা।