ক্যাটাগরি

হেফাজতকে নিষিদ্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

স্থানীয় সময় ৭ এপ্রিল ই-মেইলে পাঠানো ওই স্মারকলিপির একটি করে অনুলিপি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট, কংগ্রেসের উভয়কক্ষের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিকেও দেওয়া হয়েছে।

একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি নূরুন্নবী এ তথ্য জানান।

স্মারকলিপি পাঠানো সংগঠনগুলো হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র শাখা, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়্যার ভোটারনস, ইউএসএ ইত্যাদি।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, “স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দিন এই সংগঠনটি সারা বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা চালিয়েছে। অর্থাৎ অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশকে ধ্বংস করে ওরা সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানাতে চায় যেখানে গণতন্ত্র থাকবে না, প্রচলিত রীতি গুড়িয়ে দিয়ে ধর্মীয় অনুশাসনের নামে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং নারী শিক্ষাসহ প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হবে।”

“অথচ ৩০ লাখ বাঙালির তাজা রক্তে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামক স্বাধীন একটি ভূখণ্ড বিশ্ব মানচিত্রে ঠাঁই করে নিয়েছে-যার মূল চেতনা হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা। স্বাধীনতা দিবসের ওই জঙ্গি তৎপরতায় বেশ কয়েক জনের রক্ত ঝরেছে বিভিন্ন স্থানে। বাড়ি-ঘরে হামলা এবং লুটতরাজেও লিপ্ত হয় এ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ওরা সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লায় হিন্দু বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটতরাজের পর অগ্নি সংযোগ করেছে। হেফাজতে ইসলামের এমন তাণ্ডব তথা জঙ্গি তৎপরতার সংবাদ বিশ্ব মিডিয়াতেও এসেছে। মুক্তবুদ্ধি চর্চায় নিয়োজিতদের হত্যা অভিযানসহ প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথিকৃতদের নির্মূলের প্রকাশ্য কর্মসূচি রয়েছে এই জঙ্গি সংগঠনের। নারী ক্ষমতায়নের যে বিস্ময়কর অগ্রগতি বাংলাদেশে সাধিত হয়েছে তা ধুলিস্যাৎ করতে ওরা বহুমুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিভিন্ন সময়ের অপতৎপরতার মাধ্যমে হেফাজতে ইসলাম যে সত্যিকার অর্থেই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কে জড়িত এবং বাংলাদেশকেও পাকিস্তান-আফগানিস্তানের মত ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত- তা এখন দিবালোকের মত সত্য। তাই অবিলম্বে এই সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করে তার সাথে জড়িত সকলকে বিচারের আওতায় আনা না হলে শুধু বাংলাদেশই নয় দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শান্তি সুরক্ষা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।”

এই স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন- যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুন্নবী, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ এবং সেক্রেটারি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনসুর খন্দকার, সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়া এবং কমিউনিকেশন ডাইরেক্টর বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়্যার ভেটারন্স’র প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ এবং সেক্রেটারি মোহাম্মদ ফারুক হোসাইন এবং ইউএস কমিটি ফর সেক্যুলার ডেমক্র্যাটিক বাংলাদেশ-এর মহাসচিব জাকারিয়া চৌধুরী প্রমুখ।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!