প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার ৪-১ গোলে জিতেছে শিরোপাধারীরা। একটি করে গোল করেন এমবাপে, পাবলো সারাবিয়া, মোইজে কিন ও লেয়ান্দ্রো পারেদেস।
দলটির বিপক্ষে লিগে প্রথম দেখায় গত অক্টোবরে ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে জিতেছিল পিএসজি। আর গত রাউন্ডে লিলের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল।
লাল কার্ডের নিষেধাজ্ঞায় এই ম্যাচে ছিলেন না নেইমার। তবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের অভাব বুঝতে দেননি এমবাপে-কিনরা।
অবশ্য দশম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো স্ত্রাসবুর। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ফরাসি মিডফিল্ডার আদ্রিয়াঁর শট পোস্টে লাগে।
শুরু থেকে বল দখলে আধিপত্য করা পিএসজি ষোড়শ মিনিটে এগিয়ে যায়। লেয়ান্দ্রো পারেদেসের পাসে ডি-বক্সে জায়গা বানিয়ে কাছ থেকে বাঁ পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এমবাপে।
চলতি মৌসুমে লিগ ওয়ানের সর্বোচ্চ গোলদাতা এমবাপের গোল হলো ২৭ ম্যাচে ২১টি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোনাকোর ফরোয়ার্ড বেন ইয়েদেরের চেয়ে ৬টি বেশি।
২৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সারাবিয়া। দানিলোর পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
বিরতির আগে স্কোরলাইন হয় ৩-০। এই গোলে অবদান রাখেন গত বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানের জয়ে জোড়া গোল করা এমবাপে। তার পাস ডি-বক্সে পেয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড কিন।
দ্বিতীয়ার্ধে কেইলর নাভাসের বদলি হিসেবে স্প্যানিশ গোলরক্ষক সের্হিও রিকোকে মাঠে নামান পিএসজি কোচ। ৬৩তম মিনিটে ব্যবধান কমায় স্বাগতিকরা। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের পাস ডি-বক্সে পেয়ে ডান পায়ের শটে বল জালে পাঠান আগের মিনিটে বদলি নামা দিওন মোইজে সাহি।
৭৯তম মিনিটে আবার ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় সফরকারীরা। ফ্রি কিকে গোলটি করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার পারেদেস।
৩২ ম্যাচে ২১ জয় ও তিন ড্রয়ে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে পিএসজি।
দিনের অন্য ম্যাচে মেসের বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতা লিল ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। এক ম্যাচ কম খেলে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে মোনাকো।
৩২ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৪তম স্থানে আছে স্ত্রাসবুর।