ভারতের রেকর্ড দৈনিক সংক্রমণ ও টিকা সংকট এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বিশ্বের মোট করোনাভাইরাস রোগীর ১১ শতাংশ দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশে, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায় শনাক্ত হয়েছে আর মোট মৃত্যুর প্রায় ছয় শতাংশ এই সাতটি দেশে ঘটেছে। বিশ্বের ৭৫৯ কোটি লোকের ২৩ শতাংশ এই অঞ্চলে বসবাস করে।
দক্ষিণ এশিয়ার মোট আক্রান্ত ও মৃত্যুর ৮৪ শতাংশের বেশি ঘটনা ঘটেছে ভারতে। মোট আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর তৃতীয় স্থানে আছে দেশটি।
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনবহুল দেশটি শনিবার এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত ও ৭৯৪ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া ভারতে চলতি সপ্তাহে দৈনিক সর্বোচ্চ শনাক্তের পঞ্চম রেকর্ড হয়েছে।
সংক্রমণের এই উর্ধ্বগতির জন্য দেশটির সরকার সামাজিক দূরত্ব বিধি না মানা ও মাস্ক ব্যবহার না করাকে দায় দিয়েছে।
দৈনিক প্রায় ৪০ লাখ লোককে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে দেশটি টিকাদান কর্মসূচী জোরদার করলেও কয়েকটি রাজ্য বলছে, কেন্দ্রীয় সরকার সময়মতো টিকা সরবরাহ না করায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রতিবেশী পাকিস্তান এই অঞ্চলে মহামারীতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বিতীয় দেশ। সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে থাকা দেশটিতে শনাক্ত রোগী সাত লাখেরও বেশি এবং কোভিডজনিত মৃত্যু ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
গত ১০ দিনে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়েছে। মহামারীর যে কোনো পর্যায়ের চেয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে (আইসিইউ) এখন বেশি রোগী রয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দিনে ৬ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়ে আসছিল। এর মধ্যে গত বুধবার রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৪৩ জন নতুন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
‘আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডেটা’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার অন্তত নয় কোটি ৪১ লাখ মানুষ করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন।