শনিবার সকালে ‘শিশুর বিয়ে প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সেমিনারে গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশনের যুগ্ম পরিচালক ইকবাল উদ্দিন।
তিনি জানান, বাংলাদেশের বাল্যবিয়ের সর্বশেষ হার যেখানে ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ সেখানে ভোলায় তা ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ।
মোট বিয়ের মধ্যে ১৮ বছরের নিচে কতজন নারীর বিয়ে হয়েছে তার ভিত্তিতে এই শতাংশ কষা হয়ে থাকে।
অসচেতনতা, নারীর নিরাপত্তাহীনতা, দারিদ্র এবং ইউনিয়ন পরিষদের দেওয়া ভুয়া জন্ম-সনদকে বাল্যবিয়ের প্রধান কারণ হয়েছে এ গবেষণায়।
বাল্যবিয়ে রোধে স্থানীয় প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদকে সক্রিয় করা, গ্রাম পর্যায়ে কমিটি গঠন, নারীর নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং নারী শিশুকে উপবৃত্তির আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে এই গবেষণায়।
বক্তারা বাল্যবিয়ের কন্যা সন্তানকে কম গুরুত্ব দেওয়া, শিশু সুরক্ষা হটলাইনের ব্যবহার না করা, আইন শৃংখলা বাহিনী ও স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সক্রিয় ভূমিকা না থাকার কথাও বলেন।
চলমান মহামারীতে স্কুল থেকে ঝরে পড়াও বাল্যবিয়ের হারকে বাড়িয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় এ সেমিনারে।
এ সেমিনারে স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, “নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি, বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন করার কোনো বিকল্প নেই।”
কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন লালমোহন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, তজুমুদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা, লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান, লালমোহন উপজেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান, লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া, ফরাসগঞ্জের চেয়ারম্যান মুরাদ হোসেন, রমাগঞ্জের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, শম্ভুপুরের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রমূখ।