অস্ট্রিয়ার ক্লাব সালসবুর্কে এক বছরের
ছোট্ট অধ্যায়ে নিজের জাত চেনানো হলান্ডকে গত বছরের শুরুতে দলে টানে ডর্টমুন্ড। নতুন
ঠিকানায় মানিয়ে নিতে একেবারেই সময় নেননি তিনি। বুন্ডেসলিগার ক্লাবটির হয়ে অভিষেক ম্যাচে
বদলি নেমে করেন হ্যাটট্রিক। এরপর থেকে নিয়মিত সামর্থ্যের ঝলক দেখিয়ে হয়ে উঠেছেন দলটির
আক্রমণভাগের সেরা খেলোয়াড়।
চলতি মৌসুমেও দারুণ ছন্দে আছেন তিনি।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৩ ম্যাচে করেছেন ৩৩ গোল। সালসবুর্ক ও ডর্টমুন্ডের
হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৫ ম্যাচে তার গোল ২০টি।
ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতাটির চলতি আসরে
তার গোল ১০টি। এরই মাঝে যেখানে চারটি রেকর্ডে লিখেছেন নিজের নাম। সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার
হিসেবে টানা গোল (ছয় ম্যাচে), সবচেয়ে কম ম্যাচে ২০ গোল, ২১ বছরে পা রাখার আগে সবচেয়ে
বেশি গোল, প্রতিযোগিতাটিতে নরওয়ের সর্বোচ্চ গোলদাতা-সবগুলো রেকর্ডই এখন তার দখলে।
ইউরোপের বড় বড় ক্লাবগুলো ২০ বছর বয়সী
হলান্ডকে পেতে মরিয়া। সম্প্রতি সিবিএস স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাকে নিয়ে মুগ্ধতা
প্রকাশ করেন গতবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার লেভানদোভস্কি।
“সে অসাধারণ এক ফুটবলার…দারুণ সম্ভাবনাময়, তবে এখনও সে তরুণ।”
“নিশ্চিতভাবেই, ভবিষ্যতে তার বিশ্বসেরা ফরোয়ার্ড
হওয়ার সুযোগ রয়েছে।”
গত মাসে বুন্ডেসলিগায় মুখোমুখি হয়েছিলেন
এই দুই জন। হলান্ডের জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল ডর্টমুন্ড। তবে লেভানদোভস্কির
দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতে নেয় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ
দল বায়ার্ন।
লিগে হলান্ডকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে
খুশি পোলিশ এই তারকা।
“বুন্ডেসলিগায় তাকে পাওয়া, তরুণ একজন খেলোয়াড়ের
সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দারুণ ব্যাপার। আমি তাকে দেখেছি; তার মধ্যে গোলের ক্ষুধা
রয়েছে।”
“সে এমন একজন খেলোয়াড় যার সেরা হওয়ার যোগ্যতা
আছে। আমিও আরও অনেক বছর পুরোদমে খেলা চালিয়ে যেতে চাই। যেখানে আছি সুখেই আছি।”
চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়ার আগে
লেভানদোভস্কি নিজেও ছিলেন অবিশ্বাস্য ফর্মে। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন
পর্যন্ত করেছেন ৪২ গোল।