শনিবার নিজের ফেইসবুক পেইজে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “ভাইরাস আবারো হিংস্র ছোবল মারছে আমাদের উদাসীন শহরে, চরম উপেক্ষার গ্রামীণ জীবনে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। হাসপাতালের বেডের জন্য সংক্রমিত মানুষের স্বজনদের হাহাকার। খেটে খাওয়া মানুষের জীবিকার চাকা থেমে যাচ্ছে। থেমে যাচ্ছে জীবনের চিরচেনা সুর। থেমে গেছে সেই পাখির কলরব।থেমে গেছে নদীর কলতান। থমকে গেছে চন্দ্র- তারকা খচিত রাতগুলো। বদলে গেছে প্রকৃতির রঙ, বদলে গেছে জীবনের রঙ, বদলে গেছে রাজনীতির রঙ, বদলে গেছে আমাদের আচার-আচরণের রঙ।
“শুধু বদলায়নি অনিয়মের নিরন্তর যাত্রা। বদলায়নি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধ। মানুষের শত্রু ভাইরাসকে মানুষই জানাচ্ছে সাদর আমন্ত্রণ। অথচ এই প্রাণঘাতী ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে কত আপনজনের প্রাণ। নিভিয়ে দিয়েছে কত চোখের বাতি। তছনছ করে দিয়েছে কত সাজানো সংসার।”
সংক্রমণের উর্ধ্বগতির পরও স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের উদাসীনতার ভয়ঙ্কর পরিণতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি লিখেছেন, “এই জনপদের কত মানুষ আজ করোনার আঘাতে নিঃস্ব-রিক্ত। তবু কেউ মানেনা স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক পরতে চায় না বেশিরভাগ মানুষ। লকডাউনের কড়াকড়িতে ঢিলেঢালাভাব। পাত্তাই দিচ্ছে না কেউ ভয়ঙ্কর করোনাকে। কিন্তু করোনা কাউকে করেনা করুণা।
“জানিনা আর কতকাল গুণতে হবে আমাদের নিজেদের অবহেলার, উপেক্ষার চরম মাশুল। আমাদের সচেতন হবার সময় কি এখনো আসেনি? দেশের জনগণের নিশ্চিন্ত ঘুমের জন্য যিনি সারারাত জেগে থাকেন তার বারবার উচ্চারিত সতর্কবাণী কি কানে পৌঁছায় না? নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করোনা নিষেধাজ্ঞা আমরা মানবো না? না মানলে আমাদের সামনে নির্ঘাত অশনি সংকেত।”