শনিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিরা গ্রাম থেকে
গ্রেপ্তার যুবক ওই হামলার উসকানিদাতা বলছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. শামীম (২৬) দর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিরা গ্রামের
ফুল মিয়ার ছেলে। তিনি তিতাস গ্যাস ফিল্ডের কর্মরত রয়েছেন।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অফিসে হামলার মূল
উস্কানিদাতা ও হামলাকারী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জেলা গোয়েন্দা শাখা শাখার ওসি লোকমান হোসেন জানান, গত ২৮ মার্চ
হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালানো হয়। এ সময় শামীম ফেইসবুকে
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অফিসে হামলার আহ্বান জানান।
“এরপরই বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির অফিসে ব্যাপক হামলা
চালায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা। তিনি নিজেও এ হামলায় অংশ নেন। এ সময় গ্যাস
ডিস্ট্রিবিউশন অফিসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেন। এতে ১০ থেকে ১২ গাড়ি পুড়ে যায়।”
এ ঘটনায় ওইদিন রাত থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের
গ্যাস সংযোগ বন্ধ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি
মামলা করেছে।
তিনি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া তাণ্ডবে ৪৮ মামলায় শনিবার সন্ধ্যা
পর্যন্ত ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সদর মডেল থানায় ৪৩টি, আশুগঞ্জ থানায় ৩টি এবং সরাইল থানায় ২টি মামলা
করা হয়েছে। এসব মামলায় এজাহারনামীয় ২৮৮ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫ হাজার লোককে আসামি করা
হয়েছে।
এদিকে, আসামিদের ধরতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরসহ সদর উপজেলার সুহিলপুর ও
বুধল ইউনিয়নে ব্যাপক অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে গ্রামের বেশিরভাগ পুরুষ
আতঙ্কে ঘরছাড়া রয়েছেন।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, পুলিশ ভিডিও
ফুটেজ এবং ছবি দেখে আসামিদের গ্রেপ্তার করছে। এছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট
অভিযোগ আছে, তাদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
অপরাধী ছাড়া অন্যদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই বলেন পুলিশ সুপার আনিস।