অবশ্যই না খেয়ে নয়, ওজন কমাতে প্রয়োজন
অতিরিক্ত না খাওয়া এবং শরীরচর্চা করা। তবে এই ব্যস্ত সময়ে অনেকেই সময় সুযোগের অভাবে
শরীরচর্চা করতে পারেন না। অনেকে আবার আলসেমির কারণে করেন না।
এছাড়াও, ভোজন রসিক হয়ে থাকলে ওজন কমানোটা
বেশ কষ্টকরও।
স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
প্রতিবেদন অবলম্বনে শরীরচর্চা ছাড়া ওজন কমানোর কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ: স্থূলতার অন্যতম কারণ হল অতিরিক্ত খাওয়া। অনেকসময় পেট ভরা থাকলেও মন ভরাতে
অনেক কিছু খেতে ইচ্ছা করে, যা ওজন কমাতে বাধা দেয়। তাই খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিমাণের
দিকে মনোযোগ দিন ও বাড়তি খাবার এড়িয়ে চলুন।
এলোমেলো খাবার: ক্ষুধা লাগলে এলোমেলো খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। তাই ক্ষুধা নিবারণ করতে
কিছুক্ষণ পরপর পানি পান করা ও বেরি-ধরনের ফল, বাদাম ও ‘ড্রাই ফ্রুটস’ খাওয়ার চেষ্টা
করতে হবে।
আঁশ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: অস্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে আঁশ-জাতীয় খাবার
খাওয়া ওজন কমাতে সহায়তা করে। আঁশ সমৃদ্ধ খাবার কেবল হজমেই সহায়তা করে না পাশাপাশি অনেকক্ষণ
পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে। ফলে বাড়তি ক্যালরি গ্রহণের চাহিদা কমে।
পর্যাপ্ত পানি পান: পর্যাপ্ত পানি পান দেহকে আর্দ্র রাখে ও ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটা শরীরে শক্তি
যোগায় ও সতেজভাব আনার পাশাপাশি পেট ভরা অনুভূতিও দেয়।
খাবারে বাড়তি প্রোটিন যোগ করা: অনেকেই যেখানে মনে করেন ওজন কমাতে কার্বোহাইড্রেইট, চর্বি ও প্রোটিনের
পরিমাণ কমানোর দরকার, সেখানে বিশেষজ্ঞরা বলেন খাদ্যাভ্যাসে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের
সমন্বয় থাকা চাই।
বিশেষ করে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বাড়তি
ক্যালরি পুড়িয়ে শক্তি যোগায় ও দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে।
পর্যাপ্ত ঘুম আবশ্যক: ওজন কমাতে ঘুমও বেশ কার্যকর। মানসিক চাপ বৃদ্ধিকারী হরমোন ও ক্ষুধা
নিয়ন্ত্রণ করতে পর্যাপ্ত ঘুম আবশ্যক। ঘুমের স্বল্পতায় শরীরে কর্টিসোল হরমোনের নিঃসরণ
বাড়ে যা মূলত মানসিক চাপ বাড়ানোর দায়ী। ফলে দেহে চর্বি জমাট বাঁধে। এই কারণে রাতে পর্যাপ্ত
ঘুম আবশ্যক।
আরও পড়ুন
ওজন কমাতে সকালে অভুক্ত থাকার ক্ষতি