সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মূল্য ঘোষণা করার
কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন
বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল।
দাম ঘোষণার বিষয়ে
রোববার বিইআরসির ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশে এলপিজির মূল্য নির্ধারণে
গত জানুয়ারিতে
প্রথম গণশুনানি করে
জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এর তিন মাসের মধ্যে মূল্য ঘোষণা করা
হচ্ছে।
নতুন মূল্য আইপিপির (ইমপোর্ট প্যারিটি প্রাইস) ভিত্তিতে
নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে জানান চেয়ারম্যান।
“হ্যাঁ, এটা ইমপোর্ট প্যারিটি প্রাইসের ভিত্তিতে। আমাদের যে প্রবিধানমালা প্রস্তাবিত ছিল সেখানে আইপিপি ছিল। আমাদের প্রস্তাবিত প্রবিধানমালাকে অ্যাভয়েড করার সুযোগ ছিল না।”
আইপিপি হলো উৎসে
কেনার দর এবং এরপর কর, ভ্যাট ও আমদানিকারকের গন্তব্যে পৌঁছানো
পর্যন্ত সব খরচের হিসাব।
এলপিজির ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বিশ্বের বৃহত্তম তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর দরকে ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করে।
তবে এ
মূল্য প্রতি
মাসে অটোমেটিক পুনর্নির্ধারণ হবে এমনটা অবশ্য মনে করছেন না আব্দুল জলিল।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আইপিপির ভিত্তিতে যখন হবে…সেটা অটোমেটিক হোক, দর যদি অপপরিবর্তিত থাকে, বেশি-কম যদি হয়… সবই নির্ভর করবে আইপিপির ওপরে।”
এলপিজির দাম কত হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা ন্যায়বিচার দেয়ার চেষ্টা করেছি। মূল্য সকলের কাছে গ্রহণীয় ও সহনীয় যেন হয় সেই চেষ্টাও করেছি।
“যে
সকল বিষয়াদি বিবেচনায় নেয়া দরকার, আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী সবই নেয়া হয়েছে।”
মূল্যহার নির্ধারণের প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এলপিজিএল সাড়ে ১২ কেজি দাম ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা প্রস্তাব করে।
গণশুনানিতে বিইআরসির কারিগরি কমিটি সারাদেশে একই মূল্যে বিক্রির সুবিধায় এর সঙ্গে ‘ক্রস সাবসিডি ফান্ডের’ অর্থ যোগ করে ৯০২ টাকা করার প্রস্তাব করে। ভর্তুকি
বাবদ ৩৩৩ টাকা যোগ করা না হলে দাম দাঁড়ায় ৫৬৯ টাকা।
তবে শুনানিতে
ক্যাবের প্রশ্নের জবাবে ভর্তুকি বাবদ ওই অর্থ যোগ করার প্রয়োজন নেই বলে জানান সরকারি কোম্পানি এলপিজিএল
এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান খান।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো
এখন সম্মিলিত
সিদ্ধান্তে প্রতি কেজি ১০৪ টাকা ৯৩ পয়সা হিসেবে বিক্রি
করছে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করে। বিইআরসি এই মূল্য ৭২ টাকা ২৪ পয়সা সুপারিশ করে।
এছাড়া ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার খুচরা পর্যায়ে এক
হাজার ২৫৯ টাকা করার প্রস্তাব করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো, যা কারিগরি কমিটির বিবেচনায় ৮৬৬ টাকা হতে পারে বলে মত দিয়েছে।
এছাড়া ৩৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ২
হাজার ৫২৫ টাকা, ৪৫ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩ হাজার ২৪৬ টাকা করার প্রস্তাব করে কারিগরি কমিটি।
কমিটির ভাষ্য, সৌদি আরামকো কোম্পানির সিপি প্রতি টন ৫৩৮ ডলার বিবেচনায় নিলে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়ায় ৯৫৪ টাকা।
বর্তমান ৩৫৬ ডলার বিবেচনায় নিলে দাম হয়
৭৫৮ টাকা।
১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস লিমিটেড বোতলজাত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি বাজারজাত শুরু করে। ১৯৯৬ সালে এই ব্যবসায় যুক্ত হয় বেসরকারি উদ্যোক্তারা।