অনেকেই হয়তো ঠোঁট উল্টে বলবেন, এই একই কথা অ্যাপল তো প্রতিবছরই বলে। খেয়াল করে দেখুন, প্রতিটি পণ্য উন্মোচন ইভেন্টে অ্যাপল সিইও টিম কুক বা প্রতিষ্ঠানটির সাবেক বৈশ্বিক বিপণন প্রধান ফিল শিলার, যিনি এখনও ‘ফেলো’ হিসেবে অ্যাপলের সঙ্গে আছেন, এই দু’জন প্রতি বছরই নতুন আইফোন নিয়ে কী বলেছেন।
“দ্য বিগেস্ট আপগ্রেড এভার’ – এই শব্দগুচ্ছ তাদের খুবই পছন্দ। অনেকের কাছেই এটা কেবল প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং স্লোগান। আর চমৎকার সব বিশেষণ ব্যবহারে অ্যাপলের ধারেকাছে কেউ আছে?
এই ২০২১ সালে এসে অ্যাপল নয়, ভিন্ন একটি সূত্র ওই একই কথা বলছে। আইফোন ১৩-তে সম্ভবত এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় আপগ্রেড আসতে যাচ্ছে। আর ওই তথ্য জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক প্রকাশনা ডিজিটাইমস।
শতকরা ২০ ভাগ শক্তি সাশ্রয়
সোজা ভাষায় এই কথার মানে হচ্ছে, আইফোন ১২ যতটুকু চার্জে ১০ ঘণ্টা চলতো, সেই একই চার্জে এখন আইফোন ১৩ চলবে ১২ ঘণ্টা। চোখ কপালে তোলার মতো উন্নতি বটে। বিশেষ করে আইফোন ১২-এর ব্যাটারি লাইফ ব্যবহারকারীদের ভালোই ভুগিয়েছে। আইফোন ১১-এর তুলনায় ১২’র ব্যাটারি ছিল আকারে ছোট, ফলে কম ক্ষমতার, ফলে চার্জ থাকতো কম। সেটা যদি এবার গিয়ে ২০% বাড়ে, খবরটা স্বস্তির, সন্দেহ নেই।
নতুন ডিসপ্লে
ডিজিটাইমসের প্রতিবেদন বলছে, অ্যাপলের দুই চুক্তিভিত্তিক যন্ত্রাংশ নির্মাতা স্যামসাং এবং এলজি নতুন ফোনের জন্য এলটিপিএস ওলেড-এর পরিবর্তে এলটিপিও এলেড ডিসপ্লে তৈরি করছে। ঘটনাটি সত্যি হলে সেটি গ্রাহকদের জন্য “ডাবল উইন” হবে বলে মন্তব্য করেছে প্রকাশনাটি। একদিকে যেমন শক্তি খরচ কমবে তেমনি অন্যদিকে ব্যবহারকারী এক হার্টজ থেকে ১২০ হার্টজ ভেরিয়েবল রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে পাবেন।
ডিসপ্লের ডিসপ্লে রেট বেড়ে গেলে ভিডিও অনেক মসৃণ হয় সত্যি, কিন্তু এতে বারোটা বাজে ব্যাটারি চার্জের। এখানেই ব্যাটারির চার্জ বাঁচাতে ভূমিকা রাখতে পারে ভেরিয়েবল রিফ্রেশ রেট।
এ১৫ চিপ, নতুন ৫জি মডেম
অ্যাপলের সিস্টেম অনএচিপ প্রতিটি নতুন সংস্করণেই আসে বেশ কিছু আপগ্রেড নিয়ে। এ১৫ চিপের সেই ধারাবাহিকতা এবারও বজায় থাকবে আশা করা যায়। সূত্র বলছে, এর পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মের ৫জি মডেম আসবে নতুন আইফোনে।
ছোট নচ
শেষ পর্যন্ত! হ্যাঁ, অ্যাপল ভক্তরা হয়তো এভাবেই তাদের অনুভূতি প্রকাশ করবেন। নচ বিষয়টিই জনপ্রিয় করেছিল আইফোন এক্স। অন্য ফোনগুলো সেই নচকে দিনদিন কমিয়ে এনেছে। অথচ অ্যাপল বসে ছিল প্রায় আগের চেহারাতেই। এবার ফাঁস হওয়া বিভিন্ন ছবি বা স্ক্রিনশট থেকে অনুমান করা যাচ্ছে নচের আকার অনেক কমিয়ে আনতে পারে অ্যাপল।
এই কিস্তিতে ভবিষ্যদ্বাণীর সবই দেখা যাচ্ছে হার্ডওয়্যার সম্পর্কিত। এর বাইরে আর কী পরিবর্তন আসছে সেটা জনার জন্য হয়তো আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে পারে।