রোববারের এ ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর দুই সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শোপিয়ান জেলার হাদিপোরা গ্রামে একটি অভিযানে নিহত তিন বিচ্ছিন্নতাবাদীর মধ্যে একজন কিশোরও আছেন । ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ আগে সে নিখোঁজ হয়; তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল সে স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
পুলিশের আইজি বিজয় কুমার বলেন, “অভিযান চলাকালে ওই কিশোরের অভিভাবককে ঘটনাস্থলে আনা হয় এবং তারা তাদের ছেলেকে আত্মসমর্পন করতে অনুরোধ করেন। সে আত্মসমর্পন করতে চাইলেও তার সহযোগীরা বাঁধা দেয়।
“গতকাল সন্ধ্যায় উদ্বিগ্ন কিশোরটি তার অভিভাবককে ফোন করে জানায়, তার সঙ্গে থাকা দলের একজন মারা গেছে, সে তার অভিভাবককে তার জীবন বাঁচানোর জন্য অনুরোধ করে। পুলিশ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও একই দলের আসিফ নামের একজন তাকে বাঁধা দেয়।”
ভারতীয় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও সিআরপিএফ যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি রাইফেল এবং একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, দুইটি অস্ত্র থাকায় ধারণা করা হচ্ছে কিশোরটির কাছে কোন অস্ত্র ছিলনা।
১৪ বছর বয়সী এই কিশোর গত শুক্রবার নিখোঁজ হয়। কাশ্মীরের নিরাপত্তা রীতি অনুযায়ী তার পরিবারের কাছে এই কিশোরের লাশ হস্তান্তর না করে কোনো এক অজ্ঞাত গোরস্তানে দাফন করবে পুলিশ।
একই দিন অনন্তনাগ জেলায় আরেকটি অভিযানে আরও দুইজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হন। পুলিশ জানায়, নিহত দুইজন মোহাম্মাদ সেলিম নামের এক সৈন্যের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
গত তিন দিনে কাশ্মীরে চারটি আলাদা অভিযানে ১২ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।