তবে, শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে প্রত্যয়ী এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। বাকি সব ম্যাচ জিতে এবং কিছুটা ভাগ্যের সহায়তায় শিরোপা উঁচিয়ে ধরার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে লা লিগায় মৌসুমের দ্বিতীয় ক্লাসিকোয় ২-১ গোলে হেরে তিনে নেমে গেছে বার্সেলোনা, ৩০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬৫। ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে শিরোপাধারী রিয়াল। এক ম্যাচ কম খেলা আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্টও রিয়ালের সমান ৬৬।
প্রথমার্ধেই করিম বেনজেমা ও টনি ক্রুসের গোলে ২-০তে পিছিয়ে পড়া কুমানের দল দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া চেষ্টা চালায়। অস্কার মিনগেসার ব্যবধান কমানো গোলের পর উজ্জীবিত হয়ে ওঠে দলটি। শেষ পর্যন্ত ভাগ্যও সহায় হয়নি তাদের। বিরতির আগেই লিওনেল মেসির একটি কর্নার দূরের পোস্টে বাধা পায়। ম্যাচের শেষ মিনিটে তরুণ মিডফিল্ডার ইলাইশ মোরিবার শটও ক্রসবারে লেগে ফেরে।
শত চেষ্টা করেও সমতাসূচক গোলের দেখা না পাওয়ায় ম্যাচ শেষে হতাশা প্রকাশ করেন রবের্তো।
“সমতায় ফিরতে আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছি। শিরোপার জন্যও আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।”
“এই ম্যাচের আগে শিরোপা ভাগ্য আমাদের হাতেই ছিল, কিন্তু এখন আর নেই। তাই আমাদের বাকি ম্যাচগুলো জিততে হবে এবং আশা করতে হবে অন্যরা যেন পয়েন্ট হারায়।”
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে হারের পর বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কুমানের মতো রেফারির ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন রবের্তোও।
শেষ দিকে বার্সেলোনা দুইবার পেনাল্টির আবেদন করেও রেফারির সাড়া পায়নি। দুইবারই রিয়ালের ডিফেন্ডার ফেরলঁদ মঁদির চ্যালেঞ্জে পড়ে যান সফরকারীদের বদলি ফরোয়ার্ড মার্টিন ব্রাথওয়েট। রেফারি ভিএআরের সহায়তাও না নেওয়ায় বিস্মিত রবের্তো।
“আমি ওই ঘটনার সামনেই ছিলাম। আমার মনে হয়েছে, সে (মঁদি) তাকে (ব্রাথওয়েটকে) স্পর্শ করেছিল।”
“তারা এটি রিভিউয়েরও প্রয়োজন মনে করেনি, এটিই আমাকে বেশি ক্ষুব্ধ করেছে। খুব দ্রুত তারা বলে দিল যে কিছু ঘটেনি, যা আমাকে অবাক করেছে। ফাউল হয়েছিল কিনা, ভিএআর সিদ্ধান্ত নিতে পারত।”
গত অক্টোবরে আসরের প্রথম দেখায় ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে হারের পরও রেফারির সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ছিল বার্সেলোনা।