শনিবার
রাতে উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের কাজিয়াড়া মহাশ্মশানের কালী মন্দিরে এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে
রোববার দুপুরে মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম এবং নেহালপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ
এসআই আতিকুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এই মন্দির
কমিটির সভাপতি রঘু রাহা বলেন, “শনিবার রাতে দুর্বৃত্তরা মন্দিরে হানা দিয়ে প্রতিমার
চারটি হাত ভেঙে ১০ জোড়া শাঁখা, সোনার কয়েকটি টিপ ও টিকলি নিয়ে যায়।”
পুরহিত
সত্য আচার্য্য বলেন, প্রতিদিনের মতো রোববার সকাল ১০টার দিকে দুইজন সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে
তিনি মন্দিরে যান পূজা করতে। এ সময় মন্দিরে বাঁশের তৈরি দরজা খোলা ছিল।
“আমরা ভেতরে
ঢুকে দেখতে পাই প্রতিমার চারটি হাতের কব্জি ভাঙা এবং কপালে থাকা সোনার টিপ ও টিকলি
নেই।”
মন্দিরের
পাশে অবস্থিত দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পঙ্কজ রাহা মদনের বাড়ি।
পঙ্কজ রাহা
বলেন, ফাঁকা মাঠের মধ্যে বাঁশের বেড়া দিয়ে তৈরি মন্দিরে রাতে যেকোনো সময় নেশাখোরেরা
হানা দিয়ে এই ঘটনা ঘটাতে পারে।
এই মন্দিরে
ইতিপূর্বে কয়েকবার চুরি হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মণিরামপুর
থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে মন্দির
কমিটির সভাপতিকে খবর দেওয়া হয়েছে।
মন্দির
কমিটির সভাপতি রঘু রাহা জানান, এ ব্যাপারে তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।