ক্যাটাগরি

করোনাভাইরাস: ৭৮ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড, আক্রান্ত ৫৮১৯

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বশেষ পরিস্থিতি
জানিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তাতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ জনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়।

শনিবার একদিনে ৭৭ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই
দিন পর্যন্ত সেটিই ছিল একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুর রেকর্ড, যা এক দিনের মাথায় ভেঙে
গেল।

নতুন ৭৮ জনের মৃত্যুতে দেশে মোট ‍মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭৩৯
জন।
গত ৩১ মার্চ ৫২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে
দৈনিক মৃত্যু কখনোই ৫০ এর নিচে নামেনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোববার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৮১৯ জন
নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৫৬
জন।

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দিনে ৬ হাজারের বেশি রোগী
শনাক্ত হয়ে আসছিল। এর মধ্যে গত বুধবার রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ৪ হাজার ২১২ জন। তাদের নিয়ে সুস্থ হওয়া রোগীর
সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ১৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।
আর সর্বমোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

 

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৪৮টি ল্যাবে ২৯ হাজার
৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫০ লাখ ২ হাজার ৮৬৫টি নমুনা।

শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ২০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক
৪২ শতাংশ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ; তা
৬ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১ এপ্রিল।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য
নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ৩১ মার্চ তা ৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে
আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে।

 

 

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৫৩ জন পুরুষ আর নারী ২৫ জন। তাদের
প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন।

মৃতদের মধ্যে ৪৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর,
৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ৬ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং ১ জনের বয়স ১০ বছরের কম
ছিল।

মৃতদের মধ্যে ৪৭ জন ঢাকা বিভাগের, ২০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪ জন রাজশাহী
বিভাগের, ৪ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের এবং ১ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা
ছিলেন।

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৯ হাজার ৭৩৯ জনের মধ্যে ৭ হাজার ২৭৯ জনই পুরুষ
এবং ২ হাজার ৪৬০ জন নারী।