রোববার ভোরে মাঝারি ও ঘন কুয়াশার কারণে সামান্য দূরের জিনিসও দেখা যাচ্ছিল না।
ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলেছে কুয়াশার রাজত্ব। বিধিনিষেধের মধ্যে দূরপাল্লার বাস চলাচল করছে না। তবে জেলার সড়ক ও মহাসড়কে ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলেছে ধীর গতিতে।
চৈত্র মাসের শেষ দিকে এমন ঘন কুয়াশা অনেকেই এর আগে দেখেননি বলে জানিয়েছেন।
শেরপুরে শহরের চকপাঠক এলাকার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব লেহাজ উদ্দিন বলেন, “চৈত্র মাসের শেষ দিকে আজ [রোববার] এমন কুয়াশা আমরা এই বয়সে আর দেখি নাই।”
প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া শেরপুর স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত মশিয়ুর রহমান বলেন, “অসময়ের কুয়াশাটার মাধ্যমে প্রকৃতি আমাদের প্রতি যেন একটা বিরূপ মনোভাব পোষণ করছে। এই বিষয়টা আল্লাহ্ পাক ভালো জানেন।”
হোটেল কর্মচারী মোবারক আলী বলেন, “চৈত্র মাসে এমন ঘন কুয়াশা আমার বয়সে দেখি নাই। যে কুয়াশা ‘পড়ছে’ কাছে থেকেই মানুষ এবং গাড়ি দেখা যাইতেছে না।”
চক পাঠকের বাসিন্দা দোকানদার আব্দুল হাকিম বলেন, “সকালতেনে এরম কুয়াশা চৈত মাসে আমরা জীবনেও দেহি নাই।”
প্রাইভেট কার চালক জুয়েল মিয়া বলেন, “গাড়ি নিয়া ময়মনসিংহ গেছিলাম। ময়মনসিংহে যাওয়া আসার পথে চৈত্র মাসের কুয়াশার কারণে সময় বেশি লাগছে।”
প্রাতঃকালীন ভ্রমণে বের হওয়া গৃহবধূ অর্পিতা ঘোষ বলেন, “হাঁটছি আর ভাবছি চৈত্র মাসে এমন কুয়াশা তো আর কোনো দিন দেখি নাই।”
অ্যাম্বুলেন্স চালক বাবু বলেন, “খুব কুয়াশার কারণে আজ রোববার সকালে আসতে খুব সমস্যা হয়েছে। কুয়াশার কারণে কিছু দেখা যাচ্ছিল না।”