ক্যাটাগরি

জনকণ্ঠের সামনে আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষ

তাদের মধ্যে
তিনজনকে মগবাজার
কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জনকণ্ঠ কর্মীদের সঙ্গে কথা
বলে জানা গেছে।

তবে
এ ঘটনা নিয়ে চাকরিচ্যুত
এবং কর্মরত সাংবাদিক-কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে।

চাকরিচ্যুত
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক গফ্ফার খান চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের ২৭ জনকে ‘নিয়ম বহির্ভূতভাবে’ চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে।

“ওয়েজবোর্ড
অনুযায়ী কোনো পাওনাও পরিশোধ করা হয়নি। কয়েক দিন
ধরে আমরা এসবের প্রতিবাদ করে অসছিলাম। সরকারের বিভিন্ন মহলের সাথে যোগাযোগ করে আসছিলাম। তারাও আশ্বাস দিয়ে আসছিলেন।

“এরই
ধারাবাহিকতায় আজ বেলা ১২টার
দিকে আমরা জনকণ্ঠ ভবনের
সামনে অবস্থান কর্মসূচি
পালন করছিলাম। তার মধ্যেই বিকাল সাড়ে
৪টার দিকে মলিকপক্ষের লোকজন রড, লাঠি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।”

ওই হামলায়
সাংবাদিক ওয়াজেদ
হিরা, ফিরোজ পান্না এবং সহসম্পাদক আনোয়ার হোসেন সাজুসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে সাজুর অবস্থা গুরুতর বলে জানান গফ্ফার খান চৌধুরী।

অন্যদিকে
জনকণ্ঠের ডেপুটি
চিফ রিপোর্টার কাওসার রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আন্দোলনের নামে তারা বাইরে থেকে ভবনে তালা দিয়েছে। ফলে অনেকে ভেতরে ঢুকতে পরছিলেন না। অন্যদিকে রাস্তায় অবস্থান নেওয়ায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়।

“এতে
পথচারী, স্থানীয় লোকজন এবং আটকা পড়া বাসের শ্রমিকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। তখন তাদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ অবস্থায় বাইরে
অপেক্ষায় থাকা আমাদের
স্পোর্টস রিপোর্টার জাহিদুল আলম জয় এবং গোলাম
মোস্তফা হামলায় আহত হন।”

এ বিষয়ে দৃষ্টি
আকর্ষণ করলে গাফ্ফার খান
দাবি করেন, তালা তারা লাগাননি। তার ভাষায়, ‘ভেতরের লোকজন’ তালা লাগিয়ে এখন অন্যর ওপর দোষ দিচ্ছে।

ঢাকা
সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ এ সংঘাতের ঘটনায় উদ্বেগ
প্রকাশ করে অবিলম্বে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন।