শনিবার সকালে গোপালগঞ্জের
টুঙ্গিপাড়ার সীমান্তবর্তী বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চর-কুনিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে
বলে ওই নারীর অভিযোগ।
নির্যাতনের শিকার ওই
নারী (২২) রূপালী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী বাজার শাখার
কর্মী। তাকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই নারী সাংবাদিকদের
বলেন, তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করার পর দুই সন্তানকে নিয়ে চরকুনিয়া গ্রামে বাবার বাড়িতে
থাকেন তিনি। ওই গ্রামের মুনসুর শেখের ছেলে আমিনুর শেখ (২৮) দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব
দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তিনি তাকে বারবার প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি বলেন, শনিবার
ভোরে বাড়ির পাশের একটি দোকানে শ্যাম্পু কিনতে যান। আমিনুর ও তার তিনি সহযোগী তাকে উত্ত্যক্ত
করেন।
“আমি প্রতিবাদ করলে
আমিনুর আমার চুল ধরে দোকানের ভিতর ফেলে দেয়। তারা আমার ওপর হামলে পড়ে ধর্ষণের জন্য
ধস্তাধস্তি করে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে আমি সেখান থেকে
বাইরে বেড়িয়ে আসি। পরে সবার সামনেই চার বখাটে আমাকে মারপিট করে।”
তিনি জানান, আমিনুর
শেখের সঙ্গে তার সহযোগী হিসেবে তিনজন ছিলেন, যাদের একজন হলেন কুনিয়া গ্রামের নোয়াব
আলী শেখের ছেলে শিহাব শেখ (৩২)।
চরকুনিয়া গ্রামের এলিজা
বেগম, জগরুল শেখ সহ প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, দুই সন্তানের জননী জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায়
চিৎকার করতে করতে দৌড়ে এসে জানান তাকে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছে।
এলিজা বেগম বলেন,
“এরপর ওই নারী বকাঝকা করতে থাকলে সবার সামনেই
তাকে মারপিট করে আমিনুর ও তার তিন সহযোগী।”
এই বিষয়ে জানতে আমিনুর
শেখের মোবাইল ফোনে কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ক্ষুদ্র বার্তা দিয়েও তার কোনো
সাড়া মেলেনি।
তবে শিহাব শেখ বলেন,
“এ ঘটনার আমি কিছুই জানি না। প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা ঘটনা রটাচ্ছে।”
বাগেরহাটের চিতলমারী
থানার ওসি মীর শরিফুল হক বলেন, “শ্যাম্পু বিক্রি নিয়ে চরকুনিয়া বাজারে মারামারির ঘটনা
ঘটেছে বলে শুনেছি। ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নারী নির্যাতন বা মারপিটের কোনো খবর আমরা
পাইনি। থানায় অভিযোগ হলে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ করব।”