ক্যাটাগরি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আয়োজনে ‘আর্মি চিফ’স কনক্লেভ অনুষ্ঠিত

রোববার
ঢাকা সেনানিবাসের মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে এই সেমিনারে প্রধান
অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। 

আইএসপিআরের
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বহুজাতিক
সামরিক অনুশীলন ‘শান্তির অগ্রসেনা’ এর অংশ হিসেবে
এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনী।

সেমিনারের
মূল বিষয়বস্তু ছিল ‘ফিউচার ট্রেন্ড অব গ্লোবাল কনফ্লিক্ট:
রোল অফ ইউএন পিস
কিপারস। আলোচনায় কি-নোট স্পিকার
হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে,  ভুটান
সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অপারেশন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দরজি রিনচেন, ফোর্স কমান্ডার ইউনাইটেড নেশনস মালটি ডাইমেনশনাল ইন্টিগ্রেটেড স্ট্যাবিলাইজেশন মিশন ইন মালি লেফটেন্যান্ট
জেনারেল ডেনিস জিলেনসপোরে এবং ফোর্স কমান্ডার ইউনাইটেড নেশনস মালটি ডাইমেনশনাল ইন্টিগ্রেটেড স্ট্যাবিলাইজেশন মিশন ইন দ্যা সেন্ট্রাল
আফ্রিকান রিজিয়ন লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিদকি ড্যানিয়েল ত্রাওর।

আইএসপিআরের
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, অরাষ্ট্রীয় শক্তির উত্থান, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, রাজনৈতিক সংকট এবং পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক ও
ভূ-কৌশলগত অবস্থানের কারণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অপারেশন ক্রমশই চ্যালেঞ্জিং এবং জটিল হয়ে পড়ছে।

“বর্তমান
সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শান্তি রক্ষীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, কমিউনিটি-বেইজড ইনফর্মেশন শেয়ারিং, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, জাতিসংঘ সনদের পরিমার্জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক অব কাঠামো তৈরির
ওপর তিনি জোর দেন।”

ছবি: আইএসপিআর

ছবি: আইএসপিআর

ভারতের
সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে তা মোকাবেলায় অংশীদারিত্বের
ভিত্তিতে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, জাতিসংঘের মতবাদের নমনীয়তা, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, যথোপযুক্ত লজিস্টিকস সহায়তা নিশ্চিত করা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাজেট বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিশ্বব্যাপী শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়
বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে বলেন, উন্নত প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক অস্ত্রের
ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিরূপ প্রয়োগ এবং চলমান বৈশ্বিক মহামারীর কারণে শান্তিরক্ষার প্রকৃতি রূপান্তরিত হয়েছে।

“এই
নজিরবিহীন বৈশ্বিক মহামারীর ফলে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অর্থবহ পারস্পরিক সহযোগিতা, নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জরুরি অবস্থার উন্নয়ন অতীব প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।”

বাংলাদেশের
নৌ ও বিমান বাহিনী এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কূটনৈতিক ও জ্যেষ্ঠ সম্পাদক-
সাংবাদিকরা সেমিনারে উপস্থিত
ছিলেন বলে আইএসপিআরের বিজ্ঞিপ্তিতে জানানো হয়।