বাংলাদেশের সবশেষ তিনটি টেস্ট সফর ছিল নিউ জিল্যান্ড, ভারত ও পাকিস্তানে। তিন সফরে পাঁচ টেস্টে একটি ইনিংস ছাড়া বড় কোনো স্কোর গড়তে পারেনি দল। বিদেশে সবশেষ আট ইনিংসে দলকে এমনকি আড়াইশ রানও এনে দিতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। এই আট ইনিংসে নেই একটি ব্যক্তিগত সেঞ্চুরিও।
ব্যর্থতার সেই বৃত্ত ভাঙতে এবার শ্রীলঙ্কা সফরের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে সোমবার ঢাকা ছাড়বে দল।
সফরপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুমিনুল বললেন, তার দাবি বেশি ব্যাটসম্যানদের কাছে।
“আপনি যদি সর্বশেষ চার-পাঁচটা সিরিজ দেখেন, আমার মনে হয়, আপনিও আমার সঙ্গে একমত হবেন। পেস বোলাররা খুবই ভালো করছে, এমনকি স্পিনাররাও। ওই হিসেবে চিন্তা করলে আমি বোলারদের নিয়ে খুব খুশি।”
“এখানে ব্যাটিংটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। খালি বোলিং নয়। শেষ দুই-তিনটা সিরিজে ব্যাটিংটা তেমন আশানুরূপ হয়নি, যেটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল। আমার কাছে ব্যাটিংটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় সবশেষ টেস্টে জিতেছিল বাংলাদেশ। দেশের শততম সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব আল হাসান। শেষ ইনিংসে ১৯১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় ৮২ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন তামিম ইকবাল।
ব্যাটসম্যানদের এবার নিতে হবে নতুন মাঠের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ। পাল্লেকেলেতে কখনও টেস্ট খেলেনি বাংলাদেশ। এই মাঠে সাকুল্যে খেলেছে চারটি ম্যাচ, এক ওয়ানডের সঙ্গে তিনটি টি-টোয়েন্টি। এবার আট বছরের মধ্যে প্রথমবার পাল্লেকেলেতে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
২০১৮ সালের নভেম্বরে এই মাঠে হয় সবশেষ টেস্ট। দুই দলের স্পিনারদের রাজত্বের সেই ম্যাচে ৫৭ রানে জেতে ইংল্যান্ড। তবে বাংলাদেশ অধিনায়কের ধারণা, বাড়তি বাউন্স মিলতে পারে পাল্লেকেলেতে।
“আমি আগে ওখানে খেলিনি। প্রথম যখন হয় (স্টেডিয়াম), অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকার সময়, ২০০৮ বা ২০০৯ সালে, তখন খেলেছি। এখন শুনেছি যে, একটু বাউন্স আছে। একটু ঘাস থাকতে পারে। শ্রীলঙ্কার উইকেট যেমন থাকে স্পোর্টিং, ওইরকমই। আমার মনে হয়, খুব ভালো ক্রিকেট হবে এবং চ্যালেঞ্জিং হবে।”
শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট শুরু ২১ এপ্রিল, দ্বিতীয়টি ২৯ এপ্রিল।