এই
তথ্য জানিয়ে শনিবার রাতে পল্টন থানায় তার ছেলে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
তাতে
এই তরুণ বলেছেন, গত ৩ এপ্রিল থেকে মায়ের খোঁজ পাচ্ছেন না তিনি। তিনি নিজের নিরাপত্তা
নিয়েও শঙ্কিত।
জিডির
ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন পল্টন থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক।
হেফাজতের
যুগ্ম মহাসচিব মামুনুলকে গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীসহ
অবরুদ্ধ করে স্থানীয় একদল। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও সেখানে
গিয়েছিলেন। পরে হেফাজতের কর্মীরা গিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
রিসোর্ট থেকে মামুনুল ঢাকায়, হেফাজতের ভাংচুর
মামুনুল
দাবি করছেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। সোশাল
মিডিয়ায় মামুনুল ও ওই নারীর কথোপকথনের নানা অডিও ঘুরছে।
যে
নারীর ছেলে জিডি করেছেন, ওই নারীই সেদিন সোনারগাঁওয়ে মামুনুলের সঙ্গে ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে
নিশ্চিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
নানা আলোচনার মধ্যে মামুনুল সম্প্রতি লাইভে এসে বলেন, তালাকপ্রাপ্ত ওই নারীকে বিয়ে করেছেন তিনি।
স্ত্রীকে খুশি করতে ‘সীমিত পরিসরে’ সত্য গোপন করা যায়: মামুনুল
জিডির
সূত্র ধরে ওসি আবু বকর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার ছেলে বলছেন, তার মা গত
৩ এপ্রিল ধানমন্ডির নর্থ সার্কুলার রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় পর থেকে তার খোঁজ আর পাচ্ছেন না তিনি।
পরে
মায়ের কক্ষে তিনটি ডায়েরি পাওয়ার কথা জানিয়ে এই তরুণ বলেছেন, সেগুলো নিয়ে বের হওয়ার
পর কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি তাকে অনুসরণ করছে বলে তিনি বুঝতে পারেন। তাতে তিনি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত বোধ
করছেন।
ওসি
বলেন, “ডায়েরিগুলো রেখে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।বিষয়টির তদন্ত চলছে।”